আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

ভুটানের ভেতরে চীনের গোপন গ্রাম!
লোকসমাজ ডেস্ক॥ বছর তিনেক আগে ডোকলাম সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই দেশের মধ্যে সেই বিরোধ চলে দীর্ঘদিন। এখন সেই ডোকলামের কাছেই ভুটানের জমিতে চীনের একটি গোপন গ্রামের সন্ধান পাওয়া গেছে। ডয়চে ভেলে জানায়, ভুটানের দুই কিলোমিটার ভেতরে চীন গোপনে একটি গ্রাম তৈরি করেছে। চীনের সরকারি মিডিয়ার একজন প্রবীণ সাংবাদিক ওই গ্রামের একটি ছবি টুইট করেছিলেন। পরে তিনি সেই টুইট ডিলিট করে দেন। চীনের ওই সাংবাদিকের নাম শেন শিওয়েই। তিনি সিজিটিএন নিউজের সিনিয়র প্রোডিউসার। শিওয়েই প্রথমে সেই ছবি টুইট করে বলেন, ডোকলাম এলাকায় তৈরি হয়েছে ওই গ্রাম। পরে তিনি গ্রাম কোথায় হয়েছে সেটাও দেখিয়ে দেন। চীনের এই পদপে ভারতের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। ভুটানের সেনা সংখ্যা সীমিত হওয়ায় দেশটির আঞ্চলিক অখণ্ডতা রার দায়িত্বে আছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানাচ্ছে, যদি চীন সত্যিই ভুটানের জমিতে গ্রাম তৈরি করে, তা হলে তা খুবই উদ্বেগের বিষয়। লাদাখের আগে ডোকলামই ছিল সাম্প্রতিক সময়ে ভারত চীনের মধ্যে সব চেয়ে বড় বিরোধের জায়গা। কিন্তু লাদাখে সংঘাতের পর দুই দেশই সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করেছে। শীতে সেনাদের যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য ভারত নতুন করে কাঠামো তৈরি করেছে। শীতের রশদও মজুত করা হয়েছে। শীতের জন্য দুই দেশ প্রস্তুত। তার মধ্যেই ডোকলামের কাছে গ্রাম তৈরি নিয়ে বিতর্ক সামনে এলো।

পোপের ইনস্টাগ্রাম থেকে বিকিনি মডেলের ছবিতে লাইক!
লোকসমাজ ডেস্ক॥ ক্যাথলিক ধর্মযাজক পোপ ফ্রান্সিসের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ব্রাজিলের এক বিকিনি মডেলের ছবিতে লাইক দেওয়া হয়। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় উঠে।শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি অনলাইন জানায়, বিষয়টি উঠে এসেছে ভ্যাটিকান কর্তৃপরে বিবৃতিতেও। এ নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও তারা জানায়। ব্রাজিলিয়ান নাতালিয়ার গারিবতোর একটি ছবিতে পোপের অ্যাকাউন্ট থেকে লাইক পড়ে। আবেদনময়ী ওই ছবিতে স্কুল ইউনিফর্ম বেশে টপস পরা অবস্থায় দেখা যায় নাতালিয়াকে। কখন ছবিটিতে পোপের অ্যাকাউন্ট থেকে লাইক পড়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে গত শুক্রবার এই লাইক তুলে নেয়া হয়। যদিও তার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। গোটা বিষয়টি স্বীকার করে ভ্যাটিকান কর্তৃপ জানায়, পোপের অ্যাকাউন্ট থেকে কীভাবে এটি ঘটল এ নিয়ে তদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে ভ্যাটিকানের একজন মুখপাত্র বলেন, হলি সি (পোপ) থেকে এ লাইক আসেনি এটা আমরা বলতে পারি। এ ব্যাপারে ইনস্টাগ্রাম থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

করোনা ঠেকাতে ইউরোপে লাখ লাখ মিংক হত্যা
লোকসমাজ ডেস্ক॥ অনেকটা বেজির মতো দেখতে মিংক করোনা সংকটকালে ইউরোপে আলোচনায় এসেছে। যার শুরু ডেনমার্কে গণহারে হত্যার সূত্র ধরে। ফ্যাশন দুনিয়ায় এ প্রাণীর পশমের চাহিদা সব সময়ই বেশি। কিন্তু সম্প্রতি ল্য করা গেছে বিশেষ ধরনের জিনগত পরিবর্তনের ফলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মিংক থেকে সংক্রমিত হচ্ছে মানুষ। প্রথমে ডেনমার্ক ও পরে সুইডেনে মিংক পালনের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের করোনা হয়। তারপরেই কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন, মিংক থেকেই করোনা ছড়িয়েছে। এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর ড্যানিশ কর্তৃপ সিদ্ধান্ত নেয় কয়েক লাখ মিংক মেরে ফেলার। যদিও গত সপ্তাহে ড্যানিশ কৃষিমন্ত্রী মোগেন্স ইয়েনসেন স্বীকার করেন, এই নির্দেশের কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না। বুধবার এই খবর প্রকাশের পর থেকেই বিরোধী দলগুলো সোচ্চার হয়ে ওঠে। পদত্যাগ ঘোষণা করেন কৃষিমন্ত্রী ইয়েনসেন। কিন্তু বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিকসেনের পদত্যাগের দাবিও তুলেছে। বিরোধী নেতা ইয়াকব এলেমান-ইয়েনসেন বলেন, ‘‘কৃষিমন্ত্রী যা করেছেন, প্রধানমন্ত্রীও তা-ই করুন, আমি চাই। আমি চাই যে, প্রধানমন্ত্রী কোনো ভুল করলে তা স্বীকার করুন, কারণ এই দায়িত্ব তারই ছিল।” এলেমান-ইয়েনসেনের পাশে রয়েছে তার দল লিবারেল পার্টি ছাড়াও ড্যানিশ পিপলস পার্টি। আদৌ সরকার বেআইনি আদেশ দিয়েছে কি না, তা জানতে নিরপে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এই দলগুলো ছাড়াও অন্যান্য সংসদ সদস্যেরা। কিন্তু নিরপে তদন্ত প্রক্রিয়ার জন্য ড্যানিশ সংসদে এ বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন, যা নিয়ে সংশয় দেখা যাচ্ছে। অরহুস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীা জানাচ্ছে যে, জুলাইয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারের ওপর আস্থা ছিল ৭৫ শতাংশ, মিংক-বিতর্কের ফলে ঠেকেছে পঞ্চাশের আশপাশে৷ এ দিকে আয়ারল্যান্ড জানিয়েছে, তারাও এক লাখের মতো মিংক হত্যা করবে। ডেনমার্কের ঘটনায় ভয় পেয়েছে আইরিশ কর্তৃপ। তারা লাখ খানেক মিংক মারার পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছে। যদিও আয়ারল্যান্ডে এখনো পর্যন্ত কোনো মিংক করোনায় আক্রান্ত হয়নি। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মিংক পালনে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। কারণ, মিংক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। সেখান থেকে বিপদের কারণ ঘটছে। তাই পালিত মিংক মেরে ফেলা হবে। এ দিকে সুইডেন জানিয়েছে, সেখানে মিংক পালনের সঙ্গে যুক্ত বহু কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন এই সংক্রমণের সঙ্গে মিংকের যোগ আছে কিনা, তা কর্তৃপ তদন্ত করে দেখছেন। এ সব ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে মিংক পালনকারীদের। যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেনের মিংক পালকরা খুবই চিন্তায় আছেন।