বাঘারপাড়া সরকারি পাইলট বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্টে টাকা নেয়ার অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দশম শ্রেণির কারিগরি বিভাগের শিখনফল মূল্যায়নে অ্যাসাইনমেন্টের নিয়ম না থাকলেও শিক্ষার্থীদের টপিক সংগ্রহ ও জমা করতে বাধ্য করেছেন যশোরের বাঘারপাড়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এমনকী নিয়ম-নীতি না মেনেই ওই বিভাগের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ বাবদ অর্থ আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে শিা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে আট মাস। এ অবস্থায় শিা কার্যক্রমের তি কিছুটা পুষিয়ে নিতে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিখনফল মূল্যায়নে শিার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিা অধিদফতর। সে অনুযায়ী, সপ্তাহে একদিন প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট টপিক সংগ্রহ ও জমা দেবে শিার্থীরা। অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ শিার্থীদের কাছ থেকে কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না বলেও নির্দেশনা রয়েছে।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, দশম শ্রেণির কারিগরি বিভাগের অ্যাসাইনমেন্ট করানোর নির্দেশ না থাকলেও শিক্ষকরা অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছেন ও জমা নিচ্ছেন। টাকার জন্য শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট টপিক সংগ্রহ ও জমা করতে বাধ্য করেছেন শিক্ষকরা। এমনকি টাকা না দিলে শিক্ষকদের হাতে থাকা নম্বর দেবেন না বলে শিক্ষার্থীদের জানানো হচ্ছে। এভাবে তাদের কাছ চার থেকে পাঁচ শ টাকা করে আদায় করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দীনকে অবহিত করে এ কাজ করছেন ওই বিদ্যালয়ের কারিগরি বিভাগের শিক্ষক ইফতেখারুল রিগান, আব্দুর রশিদ ও অনুপম কুমার বিশ্বাস। নবম শ্রেণির ইলেট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগে ৭৮ জন ও দশম শ্রেণির একই বিভাগের ৬৫ জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ অর্থ আদায় করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির কারিগরি বিভাগের শিক্ষক ইফতেখারুল রিগান অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বেতন বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দিন জানিয়েছেন, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ ও জমা নেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ কোনো শ্রেণি থেকে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন খানের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি ব্যস্ত আছি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউএনও স্যার ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। তিনি বিষয়টি দেখবেন। অফিসে আসেন সবাই একসাথে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে’। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি তানিয়া আফরোজ জানিয়েছেন, ‘অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে যেসব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে শিক্ষকরা টাকা নিয়েছেন তাদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে।’