মোবাইল ব্যাংকিং চার্জ কমালে লেনদেন বাড়বে

0

একটি মোবাইল ফোন মানুষের জীবনধারাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। মোবাইল ফোন এখন আর কোনো বিলাসদ্রব্য নয়, জীবনের প্রয়োজনীয়তা। কী নেই এখানে? শুধুই কথা বলা নয়, প্রায় সব ধরনের সেবাই মিলছে মোবাইল ফোনে। জরুরি সেবা কিংবা আইন-শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সহযোগিতা থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। জীবনকে আরো সহজ করে দিয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠানো, মোবাইল ফোন রিচার্জ, নির্ধারিত দোকানপাট ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার মূল্য পরিশোধ সুবিধা থেকে শুরু করে দেশের বাইরে বসবাসরত আপনজনদের পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স প্রাপ্তি সহজ করে দিয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে মোট ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত আগস্ট শেষে এমএফএস প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২৯ লাখ, যা মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি। সেপ্টেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে ৪৯ হাজার ১২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ছাড়াও যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন সেবা। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো, অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন েেত্র মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে। দেশে কয়েক লাখ মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের কর্মসংস্থান হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কম আয়ের মানুষের কাছে টাকা পাঠানো ও উত্তোলনে মোবাইল ব্যাংকিংই ভরসা। বড় বড় করপোরেট ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এবং শিল্পমালিকরাও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ সেবায় উচ্চ হারে চার্জ নেওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব থেকে ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরের চার্জ নিয়েও রয়েছে অসন্তোষ। চার্জ নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় ব্যাংক ও মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃলেনদেন চালুও পিছিয়ে গেছে। বিষয়টি ভেবে দেখার সময় এসেছে। সব সেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য চার্জ নির্দিষ্ট করা যায় কি না তা ভেবে দেখা যেতে পারে। এমনটি হলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন আরো বাড়বে বলে আমরা মনে করি।