জরুরি অবস্থা ও সংসদ নির্বাচন পারস্পরিক সাংঘর্ষিক নয় কি

0
ইকতেদার আহমেদ
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় একটি দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ভোগের নিশ্চয়তা দেয়া থাকে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত হয়ে থাকে। জরুরি অবস্থা মৌলিক অধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলেও আমাদের সংবিধানে উভয়ের সহাবস্থান রয়েছে। আমাদের সংবিধানের নবম-ক ভাগের ১৪১ক, ১৪১খ ও ১৪১গ-এ তিন অনুচ্ছেদ জরুরি বিধানাবলি সংক্রান্ত। ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নকালে জরুরি বিধানাবলি সংক্রান্ত নবম-ক ভাগ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সংবিধান দ্বিতীয় সংশোধন আইন, ১৯৭৩ দ্বারা নবম-ক ভাগ সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়। জরুরি অবস্থা ঘোষণা পরবর্তী দেশের নাগরিকরা কিছু মৌলিক অধিকার ভোগ থেকে বঞ্চিত হন। স্বভাবতই প্রশ্ন দেখা দেয়, জরুরি অবস্থা গণতন্ত্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না? প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতে গেলে জরুরি অবস্থা কখন ও কে ঘোষণা করতে পারেন তা জানা প্রয়োজন, এর কার্যকারিতা কত দিন, ঘোষণাটি কার্যকর থাকাকালীন কোন কোন মৌলিক অধিকার স্থগিত থাকে, কোন বিষয়ে আইন প্রণয়ন বারিত নয়, জরুরি অবস্থার ব্যপ্তি সারা দেশে হয় না কি এর যেকোনো অংশব্যাপী, জরুরি অবস্থা ঘোষণার আদেশ সংসদে উপস্থাপনের আবশ্যকতা আছে কি না এবং কার্যকর থাকার নিমিত্ত কোন অবস্থায় সংসদের অনুমোদন আবশ্যক। উপরোক্ত বিষয়গুলো অনুধাবন করতে হলে অনুচ্ছেদ নং ১৪১ক, ১৪১খ ও ১৪১গ-এর বিধানাবলি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকা প্রয়োজন। অনুচ্ছেদ নং ১৪১ক তে বলা হয়েছে- ১. ‘রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্তোষনজকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এমন জরুরি অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, যাতে যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের দ্বারা বাংলাদেশ বা এর যেকোনো অংশের নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন, তাহলে তিনি অনধিক ১২০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন; তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ ঘোষণার বৈধতার জন্য ঘোষণার পূর্বেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।’
২. ‘জরুরি অবস্থা ঘোষণা (ক) পরবর্তী কোনো ঘোষণা দ্বারা প্রত্যাহার করা যাবে; (খ) সংসদে উপস্থাপিত হবে; (গ) ১২০ দিন সময়ের অবসানে কার্যকর থাকবে না; তবে শর্ত থাকে যে, যদি সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় অনুরূপ কোনো ঘোষণা জারি করা হয় কিংবা এ দফার (গ) উপদফায় বর্ণিত ১২০ দিনের মধ্যে সংসদ ভেঙে যায়; তাহলে তা পুনর্গঠিত হওয়ার পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৩০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে ঘোষণাটি অনুমোদন করে সংসদে প্রস্তাব গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ৩০ দিনের অবসানে অথবা ১২০ দিন সময়ের অবসানে, যা আগে ঘটে, অনুরূপ ঘোষণা কার্যকর থাকবে না।’
৩. ‘যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের বিপদ আসন্ন বলে রাষ্ট্রপতির নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হলে প্রকৃত যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগ সংগঠিত হওয়ার পূর্বে তিনি অনুরূপ যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের জন্য বাংলাদেশ বা এর যেকোনো অংশের নিরাপত্তা বিপন্ন বলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন।’ অনুচ্ছেদ নং ১৪১খ তে বলা হয়েছে- ‘এ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে অন্তর্ভুক্ত বিধানাবলির কারণে রাষ্ট্র যে আইন প্রণয়ন করতে ও নির্বাহী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম নয়, জরুরি অবস্থা ঘোষণা কার্যকরতাকালে এ সংবিধানের ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪২ নং অনুচ্ছেদসমূহের কোন কিছুই সেরূপ আইন প্রণয়ন ও নির্বাহী ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করবে না; তবে অনুরূপভাবে প্রণীত কোনো আইনের কর্তৃত্বে যা করা হয়েছে বা করা হয় নাই, তা ব্যতীত অনুরূপ আইন যে পরিমাণে কর্তৃত্বহীন, জরুরি অবস্থার ঘোষণা অকার্যকর হওয়ার অব্যবহিত পরে তা সে পরিমাণে অকার্যকর হবে।’ অনুচ্ছেদ নং ১৪১গ তে বলা হয়েছে- ১. ‘জরুরি অবস্থা ঘোষণার কার্যকরকালে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আদেশের দ্বারা ঘোষণা করতে পারবেন যে, আদেশে উল্লিখিত এবং সংবিধানের তৃতীয় ভাগের অন্তর্গত মৌলিক অধিকারসমূহ বলবৎকরণের জন্য আদালতে মামলা রুজু করবার অধিকার এবং আদেশে অনুরূপভাবে উল্লিখিত কোনো অধিকার বলবৎকরণের জন্য কোনো আদালতে বিবেচনাধীন সকল মামলা জরুরি অবস্থা ঘোষণা কার্যকরকালে কিংবা উক্ত আদেশের দ্বারা নির্ধারিত স্বল্পতর কালের জন্য স্থগিত থাকবে।’ ২. ‘সমগ্র বাংলাদেশ বা এর যেকোনো অংশে এ অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত আদেশ প্রযোজ্য হতে পারবে।’ ৩. ‘এ অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত প্রত্যেক আদেশ যথাসম্ভব শীঘ্র সংসদে উপস্থাপিত হবে।’
উপরোক্ত তিনটি অনুচ্ছেদের বিধানাবলি অবলোকনে প্রতীয়মান হয়, প্রধানমন্ত্রীর পূর্বানুমোদন ছাড়া রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতাপ্রাপ্ত নন এবং নির্ধারিত ১২০ দিন সময় অতিবাহিত হওয়ার পর সংসদের অনুমোদন ছাড়া জরুরি অবস্থার কার্যকরতা থাকে না। তাছাড়া জরুরি অবস্থা ঘোষণার কার্যকরকালে সংবিধানের ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪২ নং অনুচ্ছেদসমূহের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে আইন প্রণয়ন ও নির্বাহী ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রাপ্ত যা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার পরবর্তী অকার্যকর হয়ে যায়। অধিকন্তু জরুরি অবস্থার কার্যকরতাকালে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সংবিধানের তৃতীয় ভাগে উল্লিখিত মৌলিক অধিকারগুলো বলবৎকরণের জন্য আদালতে মামলা রুজু করার অধিকার স্থগিত করতে পারেন। সাধারণ অর্থে আমরা বুঝি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী যেকোনো প্রার্থীর ভোটারদের সামনে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করতে নিজ সংগঠনের পক্ষ থেকে সভা-সমাবেশ ও শোভাযাত্রা আয়োজন এবং ওই সভা-সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় বক্তব্য প্রদানের আবশ্যকতা রয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন দেখা দেয়, জরুরি অবস্থার বিধি-নিষেধের কারণে উপরোক্ত কার্যক্রম স্থগিত থাকলে একজন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ার সুযোগ কোথায়? অনুরূপভাবে উপরোক্ত বিধি-নিষেধ থাকাবস্থায় একজন সক্রিয় ভোটারের পক্ষেও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষাবলম্বনে প্রচারে অংশগ্রহণসহ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ কি সম্ভব?
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে সংবিধানে বর্তমানে যে বিধান আছে; তা হলো মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এবং মেয়াদ অবসান ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ ভেঙে যাওয়া বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ৭২(৩) এ বলা হয়েছে- রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভেঙে না দিয়ে থাকলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে। এ দফাটিতে শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে- প্রজাতন্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত থাকার কালে সংসদের আইনের দ্বারা অনুরূপ মেয়াদ এককালে অনধিক এক বছর বাড়ানো যাবে, তবে যুদ্ধ সমাপ্ত হলে বর্ধিত মেয়াদ কোনোক্রমে ছয় মাসের বেশি হবে না। অনুচ্ছেদ নং ৭২(৪) এ বলা হয়েছে- ‘সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর এবং সংসদের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বে রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, প্রজাতন্ত্র যে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে সে যুদ্ধাবস্থার বিদ্যমানতার জন্য সংসদ পুনর্বহাল করা প্রয়োজন, তাহলে যে সংসদ ভেঙে দেয়া হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি তা আহ্বান করবেন।’
জরুরি অবস্থা ঘোষণা বিষয়ে সংবিধানে যে শর্তারোপ করা হয়েছে তা হলো- যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের কারণে বাংলাদেশ বা এর যেকোনো অংশের নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন হলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যাবে । সংসদের মেয়াদ বাড়ানো বিষয়ে সংবিধানে যে শর্তারোপ করা হয়েছে তা হলো- ‘সংসদের পাঁচ বছরে মেয়াদ অবসানের বিধান সত্ত্বে¡ও প্রজাতন্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত থাকার কারণে সংসদের আইনের দ্বারা অনুরূপ মেয়াদ এককালে সর্বোচ্চ এক বছর বৃদ্ধি করা যাবে’।সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ১৪১ক এর দফা (১) এর শর্তসমূহ এবং অনুচ্ছেদ নং ৭২ এর দফা (৩)-এর শর্তাংশ অবলোকনে প্রতীয়মান হয়- যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ অবসানের বিধান সত্ত্বে¡ও এককালে অনধিক এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ আছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ গোলযোগের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা বারিত না হলেও সংসদের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ অজুহাত হিসেবে বিবেচনার অবকাশ নেই। অভ্যন্তরীণ গোলযোগ যুদ্ধ কি না, এ বিষয়ে আইনজ্ঞদের অভিমত প্রজাতন্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত অর্থ বাংলাদেশ অন্য কোনো দেশের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত এবং তা কোনোভাবেই অভ্যন্তরীণ গোলযোগকে আকৃষ্ট করে না। অভ্যন্তরীণ গোলযোগের শাব্দিক অর্থ পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশের অভ্যন্তরস্থ হাঙ্গামা, হট্টগোল, বিশৃঙ্খলা, গোলমাল, হইচই প্রভৃতি অভ্যন্তরীণ গোলযোগের সমার্থক এবং এর কোনোটিই যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণের সমার্থক নয়। তাই অভ্যন্তরীণ গোলযোগ জরুরি অবস্থা জারির ক্ষেত্রে বিবেচ্য হলেও সংসদের মেয়াদ অবসান পরবর্তী এর মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ যে বিবেচ্য নয়, সে বিষয়ে কোনো ধরনের সংশয় আছে এমনটি প্রতীয়মান হয় না। অনেকের মধ্যে এমন ধারণা রয়েছে যে, সংসদের নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্তির অব্যবহিত পূর্বে সংসদ বহাল থাকাবস্থায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলে আপনাআপনিভাবে সংসদের মেয়াদ বেড়ে যাবে। কিন্তু তাদের এ ধারণা যে অমূলক তা সংবিধানের অনুচ্ছেদ নং ৭২(৩) ও ১৪১ক-এর বিধানাবলি থেকে স্পষ্ট।
সংবিধানের বর্তমান অবস্থায় সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী তার উত্তরাধিকার কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকায় সংসদ পুবর্নবহালের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে কার্য সম্পাদন করতে হবে। সংসদের মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এককালে অনধিক একবছর উল্লেখ থাকায় দুই বা দুইয়ের অধিকবারে এক বছর করা বৃদ্ধি বারিত নয়। এ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করতে হবে। ভোটাধিকার গণতন্ত্রের চিন্তা-চেতনার চালিকাশক্তি এবং যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধসাপেক্ষে সংবিধানের ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪২ নং অনুচ্ছেদগুলোয় বিবৃত মৌলিক অধিকারের চলাফেরার স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা, জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগ দেয়ার স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা, চিন্তা-বিবেক ও বাকস্বাধীনতা, পেশার স্বাধীনতা, সম্পত্তি ভোগের স্বাধীনতা দ্বারা সমর্থনপুষ্ট। জরুরি অবস্থা বহাল থাকাকালীন উপরোক্ত স্বাধীনতা ভোগের অধিকার স্থগিত থাকায় নির্দ্বিধায় বলা যায়, এ সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান কোনোভাবেই জরুরি অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তা ছাড়া অভ্যন্তরীণ গোলযোগের ক্ষেত্রে সংবিধানের অপব্যাখ্যার অবলম্বনে জরুরি অবস্থাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে সংসদের মেয়াদ বাড়ানোর যেকোনো ধরনের প্রয়াস আইনের সমর্থনের অনুপস্থিতিতে ফলদায়ক নয়।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
E-mail: [email protected]