আর্জেন্টিনার লা পাজ জয়ের দুই নায়কের চোখে তৃপ্তির ঝিলিক

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৬৪০ মিটার উঁচু স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক দুই ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেজ ও হোয়াকিন কোরেরা। পিছিয়ে পড়া আর্জেন্টিনাকে ৪৫ মিনিটে সমতায় ফেরান লাউতারো। পরে ৭৯ মিনিটে তার পাস থেকেই কোরেরার চমৎকার এক গোলে ১৫ বছর পর লা পাজ জয় করে ‍আলবিসেলেস্তেরা। ইতিহাস পাল্টে দেওয়া দুই নায়কের চোখে খেলে যাচ্ছে তৃপ্তির ঝিলিক। বলিভিয়ার মাঠে গিয়ে খেলা। ম্যাচ পরিকল্পনার আগেই যে কথাটি সবার আগে মনে পড়ে সেখানকার উচ্চতা। দলের কৌশল কেমন হবে, তার চেয়ে ঢের বেশি আলোচনা হয় বিরুদ্ধ পরিবেশে গিয়ে কতটা মানিয়ে নিতে পারবে সেই দল। স্বভাবতই কাতার বিশ্বকাপের বাছাইয়ে বলিভিয়ার লা পাজে খেলতে যাওয়ার আগেও আর্জেন্টিনাকে ঘিরে ঘুরপাক খেয়েছে প্রশ্নটা। তার ওপর আবার ২০০৫ সালের পর এস্তাদিও হের্নান্দো সিলেসের জয় নেই আলবিসেলেস্তেদের। অতীতের হিসাবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লিওনেল স্কলানির দল ২-১ গোলে জিতে ফিরেছে বলিভিয়া থেকে। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে কতটা পরীক্ষা দিতে হবে, আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা জানতেন। অক্সিজেনের স্বল্পতায় একটু দৌড়েই হাঁফিয়ে উঠতে দেখা গেছে লিওনেল মেসিদের। এর ওপর বলিভিয়া ২৪ মিনিটে এগিয়ে গেলে আরও বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে হাল ছাড়েনি আর্জেন্টিনা, বিরতিতে যাওয়ার আগে ফেরে সমতায়। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের ক্লিয়ার করতে যাওয়া বল তার পায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে।
আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত করা গোলেও আছে তার পায়ের ছোঁয়া। কঠিন কন্ডিশনে নিজের পারফরম্যান্স তো বটেই, সতীর্থদের দৃঢ় মানসিকতায় মুগ্ধ লাউতারো। বিশেষ করে, দুই সিনিয়র খেলোয়াড় মেসি ও নিকোলাস ওতামেন্দিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড, ‘আমাদের তরুণ একটা দল। নতুন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আছে লিও (মেসি) ও নিকোর (ওতামেন্দি) অভিজ্ঞতা। আমি দেখেছি একবার ঝাঁপিয়ে হেড করেছে নিকো, ওর রানিং ও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগও ছিল দুর্দান্ত।’ লা পাজে জয়ের ‍বিশ্বাস ছিল লাউতারোর মনে, ‘অবশ্যই এখানে (লা পাজ) জেতা সম্ভব। আমরা এখানকার ইতিহাস সম্পর্কে জানতাম। এখানে খেলা যে কঠিন, সেটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই, তবে এটা আমরা পাল্টে দিয়েছে। জানতাম ম্যাচটি কঠিন হতে যাচ্ছে। তবে এই দলটার ওপর আমার বিশ্বাস, আর সেটাই দেখিয়েছে। আমরা ভীষণ খুশি।’ কোচ স্কলানি ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, লা পাজে ড্র করে আসতে পারলেই তারা খুশি। তবে তাকে পুরো ৩ পয়েন্ট এনে দিয়েছেন কোরেরা। বদলি হিসেবে মাঠ নেমে অসাধারণ গোলে জয় নিশ্চিত করা এই ফরোয়ার্ডও তৃপ্ত, ‘আমি ‍খুব খুশি গোল করায় এবং দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে। কোচ আমাদের চেষ্টা করতে বলেছিলেন, একই সঙ্গে যতটা সম্ভব চাপ প্রয়োগের কথা বলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল হয়েছি।’