আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

ভারতে ‘উঁচুজাত’ ধর্ষকদের বাঁচাতে বিজেপি নেতার সমাবেশ
লোকসমাজ ডেস্ক॥ভারতের উত্তরপ্রদেশে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্যাতনে দলিত তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বাঁচাতে তৎপর মতাসীন বিজেপির এক নেতা। তার বিরুদ্ধে গোপন বৈঠকসহ ধর্ষিতার বাড়ির সামনে সমাবেশ করার অভিযোগ উঠেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ভারতের রাজ্যটিতে হাথরসের এ নৃশংস ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় চার ধর্ষককে, যারা তারা প্রত্যেকেই ‘উঁচু’ জাতের। মা এবং ভাই বোনদের সঙ্গে খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী ওই দলিত কন্যা। সেখানে চারজন উচ্চবর্ণের যুবক তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পাশাপাশি তার উপর অমানুষিক অত্যাচারও চালানো হয়। কেটে দেওয়া হয় জিভ। ১৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে গত মঙ্গলবার দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান ওই তরুণী। পরিবারকে ঘরে তালাবন্দী করে রাতের অন্ধকারে তার দেহ সৎকারের অভিযোগও উঠে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে।
এদিকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে ধর্ষিতার বাড়ির সামনে বেশ বড়সড় সভার আয়োজন করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা রাজবীর সিং পেহেলবান। তিনি ছিলেন রাজ্যটির বিজেপির প্রাক্তন বিধায়কও। এই বিজেপি নেতার অভিযোগ, উঁচু জাতের মানুষদের ফাঁসাতেই চক্রান্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর পেছনে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কালিমা লাগানোর অপচেষ্টা রয়েছে বলেও অভিযোগ তার। বিজেপি নেতার আয়োজিত ওই সভায় যারা এসেছিলেন, তারা সকলেই ‘উঁচু’ জাতের। এসেছিলেন অভিযুক্তদের চারজনের পরিবারও। আয়োজকদের দাবি, পুলিশের অনুমতি নিয়েই ওই সভা করা হয়েছে। যদিও ধর্ষিতাকে দেখতে গিয়ে ৪৮ ঘণ্টা ধরে যেতে দেয়া হয়নি বিরোধীদলীয় নেতা ও সংবাদমাধ্যকর্মীদের। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে গ্রেপ্তার করা হলেও ছেড়ে দেয়া হয় তাদের। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে সভা করার অনুমতি পেলেন বিজেপি নেতা রাজবীর? স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের তদন্তে কিছুতেই আস্থা রাখতে পারছেন না হাথরসের ধর্ষিতার পরিবার। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দপ্তর থেকে শনিবার জানানো হয়, সিবিআইয়ের হাতে হাথরস ধর্ষণ মামলার তদন্তভার তুলে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যদিও মৃত তরুণীর ভাইয়ের ভাষ্য, ‘আমরা তো সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানোর কথা বলিনি। রাজ্য সরকারের গঠিত তদন্তকারী দলতো তদন্ত শুরু করে দিয়েছিল। তা হলে আবার সিবিআই কেন?’ সংবাদমাধ্যমের কাছে ধর্ষণের পরিবার জানায়, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।’

কোয়ারেন্টাইনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন
লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে গেলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, শনিবার সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মুহিউদ্দিন। বৈঠকটিতে অংশ নেয়া এক মন্ত্রীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেন যে, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে অংশ নেয়া ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী জুলকিফলি মোহামাদ আল-বাকরি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই মন্ত্রীর সংস্পর্শে আসা সবাইকেই কোয়ারেন্টানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপ। মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে ১৪ দিনের জন্য ঘরে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে যাচ্ছি। এতে সরকারি কর্মকাণ্ড কোনো ধরনের বাধাগ্রস্ত হবে না।’ তিনি বলেন, ‘ঘর থেকে আমি দায়িত্ব পালন করে যাব। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকগুলোতে অংশ নেব।’ এদিকে সোমবার মালয়েশিয়ায় নতুন করে আরও ৪৩২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১২ হাজার ৮১৩ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৩৭ জন।

শর্তসাপেে যুদ্ধবিরতিতে রাজি আজারবাইজান
লোকসমাজ ডেস্ক॥ আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমাসহ কিছু শর্ত আরোপ করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিইয়েভ। তবে এসব শর্ত আর্মেনীয় নেতার পে মেনে নেওয়া প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। জাতির উদ্দেশে দেওয়া অগ্নিগর্ভ ভাষণে রবিবার আলিইয়েভ সতর্ক করে বলেন, আর্মেনীয় নেতার আগেই ভাবা উচিত ছিল। এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর্মেনীয় বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকা অবশ্যই ছেড়ে যেতে হবে। ইয়েরেভানকে আজারবাইজানের আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা স্বীকার করতে হবে। যে অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ চলছে সেটি আর্মেনিয়ার অংশ নয় স্বীকার করতে হবে।’ আলিইয়েভ আরও বলেন, ‘নাগরনো-কারাবাখ আমাদের ভূমি। আমাদেরকে সেখানে ফিরতে হবে এবং আমরা এখনই তা করছি।’ তিনি বলেন, ‘এটিই শেষ। আমরা তাদের দেখিয়েছি আমরা কী। আমরা তাদের কুকুরের মতো তাড়া করছি।’ ইতোমধ্যে আর্মেনিয়ার দখলে থাকা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জাব্রাইল জেলাসহ কয়েকটি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে আজারবাইজান। গত ২৭ বছর ধরে এসব এলাকা আর্মেনিয়া দখল করে রেখেছিল। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয় দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তারা দুটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়। প্রায় চার দশক ধরে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ চলছে। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এটি এখনো আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।