খেলার খবর

0

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে ফিরল ইংল্যান্ড
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত চেষ্টায় দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ল ইংল্যান্ড। রান তাড়ায় রেকর্ড ফিফটিতে দলকে পথ দেখালেন কুইন্টন ডি কক। তবে জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না তা। রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ওয়েন মর্গ্যানের দল। ডারবানে শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২ রানে জিতেছে ইংল্যান্ড। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করে ইংলিশরা। জবাবে ২০২ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। বড় রান তাড়ায় স্বাগতিকদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন টেম্বা বাভুমা ও ডি কক। পাওয়ার প্লেতে দুজনে যোগ করেন ৬৯ রান। ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমণে এসেই জুটি ভাঙেন মার্ক উড। সীমানায় স্টোকসের হাতে ধরা পড়েন ডি কক। ২২ বলে ৬৫ রানের ইনিংসে ২টি চারের সঙ্গে মারেন ৮টি ছক্কা। এই ইনিংস খেলার পথে মাত্র ১৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টিতে কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের এটাই দ্রুততম ফিফটি। উডের পরের ওভারে ফিরে যান বাভুমাও। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি প্রমোশন পেয়ে তিনে নামা ডেভিড মিলার। রাসি ফন ডার ডাসেন এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত। শেষ ওভারে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের দরকার ছিল ১৫ রান। টম কারানের প্রথম বলে রান না পেলেও পরের দুই বলে ছক্কা, চার হাঁকিয়ে সমীকরণ নাগালে নিয়ে আসেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। চতুর্থ বলে আসে দুই রান। শেষ দুই বলে তিন রানের সহজ হিসাব মেলাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। চার বলে মাত্র দুই রান করে লুঙ্গি এনগিডির বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন জস বাটলার। দ্বিতীয় উইকেট ৫২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেন জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। ২৯ বলে ৪০ রান করেন রয়। বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩৫। পাঁচে নেমে ৪ টি চার ও দুই ছক্কায় ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন স্টোকস। শেষ দিকে মইন আলির ১১ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে দুইশ পার হয় সফরকারীদের সংগ্রহ। ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার এনগিডি। রোববার হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ।

ঢাকায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল
স্পোর্টস ডেস্ক॥ স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল এখন ঢাকায়। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় ১৫ সদস্যের দল। আপাতত টেস্ট দল এসেছে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২২ মার্চ সিরিজের একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হবে দল দুটি। এর আগে তিন দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে অতিথি দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। ওয়ানডে ম্যাচ তিনটি ১, ৩ ও ৬ মার্চ। ৯ ও ১১ মার্চ ঢাকার শের-ই-বাংলায় হবে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টেস্ট ম্যাচটিতে নেই জিম্বাবুয়ের টেস্ট দলের নিয়মিত অধিনায়ক শেন উইলিয়ামসন। প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ায় ছুটিতে তিনি। তার জায়গায় টেস্ট দলের নেতৃত্ব দেবেন ক্রেইগ আরভিন। ১৫ সদস্যের জিম্বাবুয়ে দল: সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাবা, ক্রেইগ আরভিন, কেভিন কাসুজা, তিমিসেন মারুমা, প্রিন্স মাসভাউরি, ক্রিস্টোফার এমপফু, ব্রিয়ান মুদজিনগানিয়ামা, কার্ল মুম্বা, তিনোতেন্দা মুতোম্বোজি, আইনসলে এনদোভু, ভিক্টর নায়ুচি, ব্রেন্ডান টেলর, ডোনাল্ড ত্রিপানো ও চার্লটন টিসুমা

এশিয়া একাদশ-বিশ্ব একাদশের দুটি ম্যাচই মিরপুরে
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশ মধ্যকার একটি দুই ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গতকাল শনিবার ম্যাচ দুটির দিন-তারিখ নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। ম্যাচ দুটি দুটি অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ও ২১ মার্চ, মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সিরিজের দুটি ম্যাচই আইসিসির অফিসিয়াল ম্যাচের স্বীকৃতি পাবে। এই সিরিজের একটি ম্যাচ প্রথমে হাওয়ার কথা ছিল ভারতে মোতেরায় নতুন নির্মিত সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল স্টেডিয়ামে। কিন্তু স্টেডিয়ামের পুরো নির্মাণ কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এই দুই ম্যাচের জন্য বিসিবির অনুরোধের প্রেক্ষিতে পাঁচজন তারকা ক্রিকেটার সিরিজে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কিন্তু কোন পাঁচ ক্রিকেটারকে পাঠাবে ভারত, সেটা এখন প্রশ্ন। কারণ ১৮ মার্চ যে, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভারতের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ! শুধু ভারত নয়, প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ থেকে খেলোয়াড় চেয়ে বোর্ডগুলোকে অনুরোধ করেছে বিসিবি।

ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিষিদ্ধ ম্যানচেস্টার সিটি
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতায় দুই মৌসুমের জন্য ম্যানচেস্টার সিটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উয়েফা ক্লাব লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট ও ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের নিয়ম ভাঙায় এই শাস্তি পেতে হয়েছে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। একই সঙ্গে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটিকে আড়াই কোটি ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। অবশ্য এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে ক্লাবটি। শাস্তি পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে সিটি কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে একই সঙ্গে উয়েফার এই শাস্তিতে তারা বিস্মিত নয় বলেও জানিয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রয়োজনীয় তথ্য উয়েফাকে দিতে ব্যর্থ হয়েছে সিটি। ক্লাবটির বিরুদ্ধে লভ্যাংশ নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ায় এবং তদন্তে সহায়তা না করার অভিযোগ এনেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। তবে সিটি এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। গণমাধ্যমের খবর মতে, স্পন্সরশিপ চুক্তির অর্থের মোট অঙ্ক নিয়ে উয়েফাকে ভুল তথ্য দিয়েছিল সিটি। এর আগে ২০১৪ সালেও নিয়ম ভাঙার দায়ে সিটিকে চার কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছিল।