চৌগাছায় ভ্যান ও ইজিবাইকের হেডলাইটের আলোয় ঘটছে দুর্ঘটনা

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ কয়েক শ ইজিবাইক আর ব্যাটারিচালিত ভ্যান চৌগাছার গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ সব বাহনে হেডলাইট হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে এলইডি লাইট। সন্ধ্যার সাথে সাথে এলইডি লাইটের কারণে বিপরীতমুখী যানবাহনের চালক কিংবা পথচারীরা চরম সমস্যায় পড়ছেন।
চৌগাছা উপজেলায় ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাটারিচালিত ভ্যান আর ইজিবাইক। নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে এই সব যানবাহন। ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ভ্যান ও ইজিবাইক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শহর ও শহরতলিতে। বয়োবৃদ্ধ, অদক্ষ ও শিশুদের দিয়ে চালানো হচ্ছে এই সব বাহন। যার কারণে অধিকাংশ চালক মানছে না সড়কের নিয়ম কানুন, ঘটছে দুর্ঘটনা। সর্বশেষ গত বুধবার বেপরোয়া ইজিবাইক কেড়ে নিয়েছে ছোট্ট শিশু তাহসিন হুসাইনের (৬) প্রাণ।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসি জানান, ব্যাটারিচালিত ভ্যান ইজিবাইকের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ সব বাহনের চালকরা মানছে না কোন নিয়ম কানুন, যত্রতত্র হর্ণ বাজানো আর বেপরোয়া গতিতে চলা তাদের এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে জ¦লে উঠছে হেডলাইট। ভ্যান কিংবা ইজিবাইক প্রতিটি বাহনের সামনে হেডলাইট হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে এলইডি লাইট। এই লাইটের গতি কমানো বা বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই বলে জানান চালকেরা। মিস্ত্রি যে ভাবে বাহনে সেট করেছে ওই ভাবেই চলছে সড়কে। যার কারণে বিপরীত দিক থেকে আসা পথচারী বা অন্য কোন বাহনের চালক এই লাইটের কারণে দেখতে সমস্যা হচ্ছে, ফলে দুর্ঘটনা লেগেই আছে। উপজেলার সাদিপুর গ্রামের মোটরসাইকেল চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ভ্যান ও ইজিবাইকের এলইডি লাইট চরম হুমকির মুখে ফেলেছে সব ধরনের মানুষকে। এর একটি প্রতিকার হওয়া দরকার। পথচারী হাশেম আলী জানান, ইজিবাইক ও ভ্যানের লাইটের কারণে সামনে কিছুই দেখা যায় না। শুধু তাই না চালকরা বেপরোয়া গতি নিয়ে চলে ও যেখানে সেখানে বিনা কারণে হর্ণ বাজায়। এদের চলাচলে বিধিনিষেধ না করলে সকলকে চরম মূল্য দিতে হবে। এ বিষয়ে চৌগাছা পৌরসভার মেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল বলেন, পৌর শহরে চলাচলরত সকল ভ্যান ও ইজিবাইককে একটি নিয়মের মধ্যে আনার পাশাপাশি দ্রুত সময়ে এ সব বাহনের লাইসেন্স প্রদান করা হবে। নিয়মের ভেতরে আনলে অবশ্যই এর চালক আইন কানুন মেনেই সড়কে চলতে বাধ্য হবে।