মনিরামপুরে চার বিঘা জমিতে মাল্টা চাষে হাবিব দু’লাখ টাকা লাভের আশা করছেন

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর) ॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় বারি-১ জাতের মাল্টা ফলের বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব নামের এক কৃষক। এ উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ দফাদারের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব হায়াতপুর গ্রামের মাঠে নিজের চার বিঘা জমিতে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে মাল্টা ফলের চাষ করেছেন। প্রথম চালানে তিন লাখ টাকার বেশি বিক্রি করেছেন। এখনও চার লাখ টাকার বেশি তার ক্ষেতের মাল্টা বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চার বিঘা জমিতে চারিদিক দিয়ে সিমেন্টের খুঁটির সাথে তারের নেট দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন। সারিবদ্ধ গাছে থোকা থোকা মাল্টা ধরেছে। রসালো মিষ্টি এ ফলের ভারে গাছগুলো নুয়ে পড়েছে। অনেক ফল পাকাপোক্ত হয়ে হলুদ বর্ণ হচ্ছে এবং ফলগুলোর পেছনে পয়সার মত চি‎হ্ন দেখা যাচ্ছে। অনেক গাছ বাঁশের খুঁটি দিয়ে গাছগুলো বেঁধে দিয়েছে। মাল্টা চাষি হাবিবুর রহমান হাবিব এ জানান, তিনি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহযোগিতায় গত ২০১৮ সালের ১০ই জুন ক্ষেতে মাল্টা ফলের চারা রোপণ করেন। বছরে দু বার গাছের গোড়ায় হাড়ের গুঁড়ো, পটাশ, ফসফেট ও সীমিত কিছু ইউরিয়া দিয়ে ১৮ মাস পরিচর্যা করেন। তারপর ২০২০সালের জানুয়ারি মাসে (মাঘ) ফুল ও ফল ধরা শুরু করে। এ পর্যন্ত গাছে যে ফল আছে প্রথম চালানে ৩লাখ টাকার ওপরে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে তার ক্ষেতে ৪৬৫টি মালটা ফলের গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ১৫ থেকে ২০ কেজি ফল রয়েছে। ওই ফলগুালা আরও ৪ লাখ টাকার ওপরে বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন। পাইকারি ও খুচরা ১শ টাকা কেজি দরে প্রতিনিয়ত বিক্রি করছেন। তবে, আগামী জানুয়ারি মাসে নতুন করে যে ফল হবে সেগুলো সম্পূর্ণ লাভ হবে। কারণ যাবতীয় খরচ প্রথম বার শেষ হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, বারী-১ জাতের মাল্টা ফল বছরে ১বার ধরে। তিনি ওই মাল্টা ক্ষেতে পরীক্ষামূলক ভাবে কমলা লেবু ও চায়না লেবুর চাষ করেছেন। এ ব্যাপারে মনিরামপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ রসালো সুস্বাদু মাল্টা ফল চাষ হাবিবুর রহমান হাবিবসহ অনেক কৃষক এ উপজেলায় চাষ করেছেন। তাদের তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে ২শ বিঘা জমিতে কৃষক এ মাল্টা ফলের চাষ করেছেন। তিনি ওই ক্ষেতগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করেন এবং এ চাষিরা লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।