সাত হাজার কোটি টাকার রিলিজ ক্লজ : আইন কিন্তু মেসির পক্ষে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই অনুশীলনে ফিরেছে বার্সেলোনার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে প্রথম অনুশীলনে অনুপস্থিত বার্সার সেরা খেলোয়াড়দের ১৭জনই। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন লিওনেল মেসি। মেসি বার্সা ছাড়তে চান- এই ইচ্ছার কথা গত সপ্তাহেই জানিয়ে দিয়েছেন বার্সেলোনা কর্মকর্তাদের। এরপরই মেসি এবং বার্সার মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে রিলিজ ক্লজ নিয়ে। ৭০০ মিলিয়ন ইউরো (সাত হাজার কোটি টাকা) তার রিলিজ ক্লজ। এতটাকা দিয়ে কে নেবে মেসিকে? কিন্তু মেসি নিজেও একটি আইনের ফাঁক খুঁজে বের করে ফেলেছেন, তার সঙ্গে বার্সার চুক্তির মেয়াদ মূলতঃ শেষ হয়েছে এ বছর জুনেই। সুতরাং, মেসি এখন ফ্রি। তিনি ফ্রি ট্রান্সফারেই যেতে পারবেন যে কোনো ক্লাবে। কিন্তু মেসির এই দাবির পক্ষে মোটেও একমত নয় বার্সেলোনা। তারা মনে করে, মেসির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাকি এখনও এক বছর। সে হিসেবে কেউ তাকে কিনতে হলে ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর পুরোটাই পরিশোধ করতে হবে।
মেসি এবং বার্সার মধ্যে যখন এ নিয়ে তুমুল লড়াই চলছে, তখন দৃশ্যপটে হাজির স্প্যানিশ লা লিগা কর্তৃপক্ষ। তারাও ঘোষণা দিয়েছে, মেসির অন্য কোথাও যেতে হলে ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর পুরোটাই দিয়ে যেতে হবে। লা লিগার এই ঘোষণার পর মূলতঃ বল বার্সার কোর্টেই মনে করছিল সবাই। কিন্তু মূল ঘটনা হলো, আইন কিন্তু পুরোপুরিই মেসির পক্ষে। ইউরোপিয়ান মিডিয়াগুলো অন্তত সেটাই বলছে। স্পেনেরই একটি রাজ্য হচ্ছে লা রিওজা। সেখানকার লা রিওজা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক এবং লা রিওজার আর্বিট্রেশন কোর্টের সদস্য হুয়ান রেমন লিয়েবানা মনে করেন, মামলা দায়ের করা হলে তাতে জিতবেন মেসিই এবং তিনি বিনা ট্রান্সফার ফিতেই বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে পারবেন। বার্সেলোনা দাবি করছে, ১০ জুনের মধ্যে মেসি তার চুক্তির সব বিষয় চুকিয়ে ফেলার সুযোগ ছিল। সেই ১০ তারিখ যখন পার হয়ে গেছে, তখন তারা এমনিতেই চুক্তির মেয়াদ ১ বছর বাড়িয়ে দিয়েছে। যেটা শেষ হবে গিয়ে ২০২১ সালের জুনে। কিন্তু মেসির আইনজীবিরা বলছে, ১০ জুন কোনোভাবেই এ নিয়ে কাজ করা সম্ভব ছিল না তাদের ক্লায়েন্ট মেসির পক্ষে। কারণ, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারি। যে মহামারিতে সব কিছু ছিল বন্ধ এবং জীবনযাত্রা ছিল পুরোপুরি অচল। যে কারণে, মেসি তার চুক্তি চুকেবুকে দেয়ার সুযোগ পাননি এবং একই কারণে বার্সা ছাড়ার সময়টা তার জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেছে। ১০ জুন- ডেডলাইন নিয়ে অধ্যাপক লিয়েবানা বলেন, ‘এটাই হচ্ছে মূল ফ্যাক্ট। একে করে তার ট্রান্সফারের প্রক্রিয়া কার্যকর করা যাচ্ছে। কিন্তু চুক্তি বলবৎ থাকছে না।’ লিয়েবানা জানাচ্ছেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ১০ তারিখের ব্যাপারে কিন্তু সঠিক অবস্থানেই রয়েছে বার্সা। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে (করোনাভাইরাসের কারণে) বিষয়টা আর বার্সার পক্ষে নেই। আদালতে গেলে মেসিই জিতবেন এই কেসে।’