আবেদনের পরও পরিদর্শন করা হয়নি অনিশ্চিত হয়ে পড়লো যশোরের ১৫৮ হাসপাতাল কিনিকের লাইসেন্সপ্রাপ্তি

0

বিএম আসাদ ॥ অনলাইনে আবেদন করেও ডিজিটাল লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ ঝুলে গেছে যশোরের ২৬২ বেসরকারি হাসপাতাল কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক পরিদর্শনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সহজ শর্তে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
যশোর সিভিল সার্জনের অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বেসরকারি হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নবায়নের জন্য ¯আস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনলাইনে আবেদন করার জন্যে এ সব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সে মোতাবেক যশোরের ২৬২টি বেসরকারি হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শর্তপূরণ করে নবায়ন ও ডিজিটাল লাইসেন্স নবায়নের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেন। এরপর বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সময় এক একটি করে এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাঠানো হয়েছিল যশোর সিভিল সার্জন অফিসে। কিন্তু গত অর্থ বছরে যথাসময়ে ওই সব বেসরকারি হাসপাতাল-কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে পরিদর্শন করা হয়নি। গতকাল ২৩ আগস্ট নবায়ন ও পরিদর্শন রিপোর্ট পাঠানোর মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ সময়ে তড়িঘড়ি করে এসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান পদিরর্শন (ভিজিট) করা হয়েছে। ৪০টির মতো বেসরকারি হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বারবার অভিযান চালানো হয়েছে। এর কোনটি সম্পূর্ণ বন্ধ আবার কোনটির বন্ধ করা হয়েছে। এভাবে গতকাল বিকেল পর্যন্ত পরিদর্শনের তালিকায় এসেছে ১শ’ ১৪টি হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো তালিকার ভেতর ১০টি প্রতিষ্ঠান যশোরের সিভিল সার্জন পরিদর্শন করতে এ অবস্থায় পরিদর্শনবিহীন ওই বেসরকারি হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নবায়ন হচ্ছে না। পাচ্ছেন না তারা ডিজিটাল লাইসেন্স।
সিভিল সার্জন অফিসের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, যশোর জেলায় মোট ২শ’ ৬২টি বেসরকারি হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর ভেতর বেসরকারি হাসপাতাল ১শ’ ৬টি। ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১শ’ ৫৬টি।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন গতকাল দৈনিক লোকসমাজকে জানিয়েছেন, যে সব প্রতিষ্ঠান ঢাকা থেকে পরিদর্শেন করতে বলা হয়, তিনি বা তার লোকজন সেগুলো পরিদর্শন করেন। সে মোতাবেক ১শ’ ৬টি হাসপাতালের মধ্যে ৫০টি পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। এর ভেতর ৪৭টি পরিদর্শন করা হয়েছে। বাকি রয়েছে ৩টি। কিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনের তালিকা এসেছে ৭৪টি। পরিদর্শন করা হয়েছে ৬৭টি। ৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নানা কারণে পরিদর্শন করা। ফলে ৩টি হাসপাতাল ও ৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার মিলে ১০টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেননি সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু মাহীন। এ অবস্থায় ২শ’ ৬২িিট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১শ’ ৫৮টি হাসপাতাল, কিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন হয়নি। নির্ধারিত সময়ে পরিদর্শন না হওয়ার কারণে এসব প্রতিষ্ঠান নবায়ন হচ্ছে না। ডিজিটাল লাইসেন্সও পাচ্ছে না। এখন মালিকরা বেকায়দায় পড়েছেন। লাইসেন্স না পেলে তাদের প্রতিষ্ঠান অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা তার কাছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো হয়েছে। তার ভেতর ১০টি তিনি নানা কারণে পরিদর্শন করতে পারেননি। ১শ’ ৪টি পরিদর্শন করেছেন তিনি। এ অবস্থায় মেয়াদ শেষ। পরিদর্শনবিহীন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিণতি কি হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, পরে সময় বাড়তে পারে।