যশোর হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের চিকিৎসক স্ত্রীসহ আরও দু’জন করোনায় আক্রান্ত # অভয়নগরে এলাকাভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণে আরও দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের ভেতর একজন নারী চিকিৎসক রয়েছেন। বয়স ৫৫ বছর। তার বাড়ি কেশবপুরে।  আক্রান্ত অপরজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। বয়স ৭৫ বছর। বাড়ি অভয়নগরে। এ নিয়ে যশোরে কোভিড-১৯ সংক্রমণে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১শ’ ৫৫ জন। এদিকে, বেশি সংখ্যক লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় অভয়নগরে এলাকাভিত্তিক একটি ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, যশোর বিচজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে গতকাল ৮৫টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। তাতে দু’জন কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী চিকিৎসক। যিনি যশোর মেডিকেল কলেজের এনেসথেসিস্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের স্ত্রী। আগে থেকে তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক ও জ্বরে আক্রান্ত। তিনি পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন। তবে স্ত্রী নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট (পজেটিভ) সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছালেও তত্ত্বাবধায়কের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট গতকাল আসেনি। ওই নারী চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসক দম্পতি হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন। আক্রান্ত অপরজন অভয়নগর পৌর এলাকার বাসিন্দা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তাকে যশোর সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, অভয়নগর উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য উপজেলা থেকে বেড়ে যাওয়ায় সেখানে এলাকাভিত্তিক লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন খান স্বাক্ষরিত একপত্রে গতকাল ৩ নং চলশিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বাগদা এাকা লকডাউন বা অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে এ লকডাউন কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে। তিনি আরও জানান, লকডাউন চলাকালে ওই এলাকা দিয়ে কোন যানবাহন ছোটবড় গাড়ী চলতে পারবে না। এক এলাকার লোক অন্য এলাকায় যেতে পারবে না।