কচুয়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি : উপকূলে ধেঁয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’

0

খোন্দকার নিয়াজ ইকবাল, কচুয়া (বাগেরহাট) ॥ প্রবল গতিতে উপকূলের দিকে ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ঝড়টি। শক্তি সঞ্চয় করে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে। চলছে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত। এই ঘূর্ণিঝড়টি সিডরের চেয়েও নাকি অধিক গতিসম্পন্ন। বর্তমানে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২শ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে এবং ঝড়টির গতিপথ অপরিবর্তিত রয়েছে। আজ মঙ্গলবার অথবা বুধবার নাগাদ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় আমফান। কচুয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিমূলক এক জরুরি সভাও করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কচুয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে । সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলার ৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র সচল রাখা হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের। দুর্যোগ মুহূর্তে একেকটি আশ্রয়কেন্দ্রে গড়ে ২শ জন করে আশ্রয় নেওয়ার ধারণা করে মানুষের খাদ্য সরবরাহের জন্য চিড়া, গুড়, পানিসহ মোমবাতি ও দিয়াশলাই মজুদ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি করোনার এই দুর্যোগে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া মাঠের রবিশস্য সংরক্ষণেও কৃষি বিভাগকে সতর্ক নজরদারি রাখকে বলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এ সভার সিদ্ধান্ত যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায়, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, রাজনৈতিক দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও এনজিও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা অঞ্জণ কুন্ডু বলেন, উপজেলার কচুয়া সদর ইউনিয়নে-৫টি,রাড়ীপাড়া-৭টি,বাধাল-৭টি,গজালিয়া-৭,ধোপাখালী-৬টি,গোপালপুর-৫টি,মঘিয়া-৭টি মোট-৪৪টি স্কুলকাম সাইকোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়নকেন্দ্র হিসাবে নির্দিষ্ট ভাবে তৈরি ধোপাখালী-১টি,কচুয়া-১টি,রাড়ীপাড়া-৩টি ও বাধাল ইউনিয়নে একটি মোট-৬টি,সর্বমোট-৫০টি আশ্রয়নকেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিৎ দেবনাথ বলেন, ঘুর্ণিঝড় আমফান মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি, ৫০টি আশ্রয়নকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে আরও ১৪টি আশ্রয়নকেন্দ্র তাৎক্ষণিক প্রস্তুত করা যাবে।