ভারতের শ্রমিকদের আপত্তিতে বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ বেনাপোল স্থলবন্ধর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মাত্র ৩ চলার পরই বন্ধ হয়ে গেছে গত রোববার (৩ মে)। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশ-ভারতের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এই কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে—এমন আপত্তি জানিয়ে পশ্চিবঙ্গের পেট্রাপোল বন্দরের শ্রমিকরাই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের (তৃণমূল কংগ্রেস) সমর্থিত শ্রমিক নেতারা বলছেন—বন্দর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে করোনা ছড়াতে পারে। তাদের দাবি—পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ এলাকার চেয়ে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ বেশি। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। এ কারণে ভারতীয় অংশে চালু হলে আবারও আমদানি-রপ্তানি শুরু হতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করছে পশ্চিম বাংলা রাজ্য সরকারের ওপর। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘দুই দেশের ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে আমদানি-রপ্তানি-প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধিও অনুসরণ করে আমাদের পক্ষ থেকে কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে।’ সহকারী কমিশনার আরও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে শ্রমিকদের দাবির মুখে পেট্রাপোল বন্দর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রাপোল বন্দর পণ্য ছাড় দিলে বেনাপোল বন্দরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
এদিকে, এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের যোগাযোগ করা হলে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দূতাবাসে এই ধরনের তথ্য আপাতত নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষও আমদানি-রপ্তানি চালু রাখার পক্ষেই থাকবে।’ উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় দীর্ঘ ৩৮ দিন বন্ধ থাকার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে গত ৩০ এপ্রিল বিকেল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। কিন্তু গত ৩ মে বিকেল থেকে এই পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে, এই ৩ দিনে ভারত থেকে ১৫ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে। নোম্যান্সল্যান্ডে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধিবিধান মেনেই মালামাল লোড-আনলোড করা হয়।