যশোর টাউন হল ও ঈদগাহ ময়দানের মাছ ও সবজি বাজার

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা সচেতনতার জন্য অবশেষে উন্মুক্ত জায়গায় স্থানান্তর করা হলো যশোর বড়বাজারের সবজি ও মাছ বাজার। বৃহস্পতিবার যশোর টাউন হল ময়দান ও ঈদগাহ ময়দানে বসে এ দুটি বাজার। গতকয়েক কয়কদিনে যশোরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় যশোর জেলা ও পৌর প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমদিন শুরু হওয়া বাজার দুটিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতা-বিক্রেতারা কেনাকাটা করেছেন।
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব দেখা দেওয়ার পর সারাদেশের ন্যায় যশোরে শুধুমাত্র ওষুধের দোকান, কাঁচা বাজার ও মুদি দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় যশোর জেলা প্রশাসন। প্রথমদিকে বড়বাজারের নির্ধারিত স্থানে সবজি ও মাছ বাজার চলতে থাকলেও পরবর্তিতে জেলা ও পৌর প্রশাসন বড়বাজার সংলগ্ন এইচএমএম রোডের ওপর সবজি বাজার ও খালদার রোড মূল সড়কের ওপর মাছ বাজার স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু এ বাজার দুটি আবাসিক এলাকায় স্থানান্তর হওয়ায় এবং প্রতিনিয়ত সামাজিক দূরত্ব ভেঙে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতির কারণে এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এনিয়ে পত্রপত্রিকাতেও ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। এরই মাঝে যশোরে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় যশোর পৌরসভা হাট দুটিকে যশোর টাউন হল ময়দান ও ঈদগাহ ময়দানে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঈদগাহ ময়দানে কাঁচাবাজার ও টাউন হল মাঠে মাছবাজার বসে। প্রথম দিনেই হাট দুটিতে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিলো। এসব মানুষ পৌরসভার নির্ধারিত সীমা রেখার মধ্যে দাড়িয়ে কেনাকাটা করেন।
যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে যশোর টাউন হল ময়দান ও ঈদগাহ ময়দানে যশোর বড়বাজারের কাঁচা ও মাছ বাজার শুরু হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এ বাজার চলবে করোনা সংক্রণের কারণে মানুষ যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে পারে সে জন্য দূরত্ব চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। মেয়র বলেন, সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তাই অবস্থা বুঝে অন্যান্য দোকান সীমিত আকারে খুলে দেয়া যায় কীনা তা ভাবা হচ্ছে। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় যশোর জেলাকে গত সোমবার সকাল ছয়টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়। যশোর জেলায় দিন দিন করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। মানুষ সামাজিক দূরত্ব ঠিকমতো মানছে না। সামাজিক দূরত্ব কার্যকর করার জন্য যশোর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।