ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপেক্সের সকল চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা নমুনা পরীক্ষাগারে

0

তরিকুল ইসলাম, ঝিকরগাছা (যশোর)॥ ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রতিদিন কয়েক শ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় সচেতন মহল। জানা গেছে, সম্প্রতি ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ ইতোমধ্যে ৫ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ এসেছে। ওই দুজনের সহকর্মী হওয়ার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারীসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা সংক্রমণের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। যার ফলাফল এখনো এসে পৌঁছায়নি। ফলাফল আসার আগেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোর ও জরুরি বিভাগে প্রতিদিন কয়েক শ রোগী দেখছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। প্রচন্ড ভিড় হওয়ায় এসব রোগী দেখতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, নতুন ভবনের ভেতর থেকে দুটি লাইন বারান্দা পর্যন্ত। একটি লাইন প্রায় বাইরের গেইট পর্যন্ত পৌছে গেছে। তাছাড়া রোগীদের অসচেতনতা তো চোঁখে পড়ার মতো। হসপিটাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের সুরক্ষায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ভবনের ভেতরে ও জরুরি বিভাগে গোল বৃত্ত দিয়েছেন। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সে লাইন তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ফলে কর্তৃপক্ষ বারবার বলা সত্ত্বেও বাইরের লাইনগুলোতে রোগীদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাশিদুল আলম জানান, তাদের দুজন (নমুনা সংগ্রকারী) সহকর্মীর শরীরে করোনা পজিটিভ এসেছে। সে কারণে হসপিটালের সকল ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারীসহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রতিদিন আউটডোরসহ জরুরি বিভাগে কয়েক শ রোগী দেখা হচ্ছে। তবে রোগীরা নিজেরা সচেতন না হলে ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, ঝিকরগাছায় করোনা আক্রান্তরা হলেন, যশোর ঘোপ সেন্টাল রোডের বাসিন্দা ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমটিইপিআই (নমুনা সংগ্রহকারী) শারাফাত হোসেন মুন্না (৫২), এমটি ল্যাব সহকারী যশোর ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাসিন্দা শাফায়াত হোসেন চয়ন (৩৫), ঝিকরগাছা পৌর সদরের মোবারকপুর গ্রামের মৃত কওসার আলীর স্ত্রী জরিনা বেগম (৬০), বামনআলী গ্রামের হুদা কসাইয়ের মেয়ে (গার্মেন্টকর্মী) টুম্পা খাতুন (২০), ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত. সিরাজুদৌলার ছেলে শামছুর রহমান (৬০)। এদের মধ্যে গার্মেন্টকর্মী টুম্পা খাতুন ও শামছুর রহমান যশোরের চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন।