কাফনের কাপড় পরে বিচার দাবি ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরীর

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেয়ার অভিযোগ তুলে রূপগঞ্জ প্রেসকাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী এবং তার পরিবার। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মঠেরঘাট এলাকার রূপগঞ্জ প্রেসকাব কার্যালয়ের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচী পালন করে তারা। ধর্ষককে গ্রেফতার করে আইনে আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।
তাদের অভিযোগ, ১৯ এপ্রিল উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার দণি কেরাব এলাকার ইব্রাহিম মিয়া নামে এক যুবক অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ২০ এপ্রিল ওই শিার্থী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেন। ওই পরিবার অভিযোগ করে জানান, ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম ধর্ষকের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে মামলা নেয়নি। বিােভে ওই কিশোরীর মা, বাবা এবং তার ভাই অংশ নেন।
তারা বলেন, ডাক্তারদের মতামত অনুযায়ী ধর্ষণেরে দুই-তিন দিন পরই শরীর থেকে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। আর এ দিকে ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতেই মামলা নিয়ে পুলিশ টালবাহানা করছে। ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন সন্ত্রাসী দিয়ে তাদের হুমকি দিচ্ছেন। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ওই ছাত্রীর করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিার্থী। দেড় বছর আগে উপজেলার দণি কেরাব এলাকার ইব্রাহিম মিয়া বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক বছর ধরে ইব্রাহিম মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিার্থীর সঙ্গে শারিরিক সম্পর্ক করেন। পরে ওই শিার্থী তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ইব্রাহিম মিয়া বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। পরে রবিবার রাতে ইব্রাহিম মিয়া শিার্থীকে তার বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাতেই তার পরিবারের লোকজন ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে ইব্রাহিমের বাবা ও মাকে বিষয়টি জানালে তারা হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যেতে বলেন। এ ব্যাপারে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।