করোনাভাইরাস : কেড়ে নিল লাখো প্রাণ

0
আমিরুল আলম খান
করোনাভাইরাস প্রথম প্রাণ নিয়েছিল চীনের উহান শহরে ৯ জানুয়ারি। ৬১ বছর বয়েসী এক পুরুষ উহানের এক হাসপাতালে মারা যান। দ্বিতীয় মৃত্যু ঘটে ১৫ জানুয়ারি আরেকজন ৬৯ বছর বয়েসী পুরুষের। তার আগে চীন থেকে ফিরে ১৩ জানুয়ারি মারা যান থাইল্যান্ডের এক মহিলা। তিনি দেশে ফেরার আগে উহান শহরের সেই মাছের বাজারে গিয়েছিলেন। চীনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড ২৩ ফেব্রুয়ারি যেদিন মারা যান ১৫০ জন। আর সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা ২২ ফেব্রূয়ারি, মোট ১৪,১০৮ জন। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে পড়ে। কিন্তু সে ছিল কেবল শুরু। করোনা বা কোভিড-১৯ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঠিক ৯১ দিন পর সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১,০১,৫৭৯ জনে! আর ঠিক এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৭৭ হাজার ২৯৮ জন (https://www.worldometers.info/coronavirus/at GMT 00 hr. 9 April, 2020). তার চেয়ে ভয়ংকর খবর, প্রথম ৫০ হাজার মৃত্যু হয় ৫৩ দিনে, পরের ৫০ হাজার মাত্র ৮ দিনে!
চীনে প্রথম কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লেও এখন তার সর্বগ্রাসী তাণ্ডব চলছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্ত এখন ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৪৬। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে যদিও ইতালিতে (১৮,৮৪৯) কিন্তু তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ১৮,০৩৪ জন। কেবলমাত্র ৯ এপ্রিলেই সেখানে মারা গেছেন ১,৩৪৩ জন। একদিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ৮ এপ্রিলের সংখ্যা ধরে পাইচার্টে মৃতের মহাদেশওয়ারি অবস্থান দেখানো হল। মানবসভ্যতার অনুসঙ্গ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অনাহার, দুর্ভিক্ষ, মহামার্‌ যুদ্ধবিগ্রহ। বাংলাদেশ তো মাড়ী মড়কের দেশ বলেই পরিচিত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ তার সাংবাৎসরিক সঙ্গী। কোভিড-১৯ মহামৃত্যুর মিছিলে বাংলাদেশও সামিল। মাত্র দেড় লাখ বর্গকিলোমিটারের চেয়ে ছোট্ট এক ভূ-খণ্ড বাংলাদেশে জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি এবং দেশটিতে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতি। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবেই বাংলাদেশে মারা গেছেন ২৭ জন। টি এস এলিয়ট এপ্রিলকে বলেছেন, নিষ্ঠুরতম মাস (“এপ্রিল ইজ দ্য ক্রুয়েলেস্ট মন্থ”)। এবার যেন তা আরও বেশি মূর্তিমান সত্যি হয়ে দুয়ারে দাঁড়িয়ে। মাড়ি-মড়কের পিছু নেয় দুর্ভিক্ষ। তার পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। একবার শুরু হলে কোথায় গিয়ে থামবে কেউ জানি না। এবার দুনিয়া জুড়ে সংকট। সারা পৃথিবী স্থবির। কে কাকে দেখবে, কে কার সাহায্যে এগিয়ে আসবে? সে সামর্থ্যই বা কার কতটুকু আছে? আমাদের কৃষিপ্রধান দেশ। মাঠে মাটে সবুজ ধানের ঢেউ চলছে এখনও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হবে? কৃষক সে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন তো? যদি দেহই অচল তো কীভাবে সোনার ধানে ভরবে কৃষকের গোলা?
চীনে এবার নববর্ষের আগে আগে হানা দেয় এই জীবনঘাতী ভাইরাস। খ্রিস্টীয় নববর্ষ এবার হারিয়ে গেছে আতঙ্কের জাজিমের নিচে। বাংলা নববর্ষে বাঙালিকে ঘরে বন্দি হয়ে কাটাতে হবে। কিন্তু এসব স্রেফ উৎসব তো নয়। এর সাথে জড়িত অর্থনীতি, জীবিকা। উৎপাদন, বিপণন, অর্থনীতিকে সচল রাখা। রাত পোহালে রমজান। তারপর মুসলমানদের সবচেয় বড় উৎসব ঈদ। এসব এখন ভাবনার বাইরে। উৎসব না হলো, ক্ষতি নেই। কিন্তু এসবের সাথে জড়িয়ে আছে জীবিকা। আয়-রোজগার না হলে মানুষের পেটে দানাপানি জোটে না। ভয়টা সেখানেই।
(২)
দূরের বাদ্য না হয় দূরেই থাক। এখন প্রাণ বাঁচানোর দায়। তার কী হবে? বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, “ঢাক ঢাক, গুঢ় গুঢ়।” আমাদের এখন সেই দশা। সারা দেশ থমকে আছে। ঘরের বাইরে যাবার উপায় নেই। করোনার ভয়। নিজে মরার ভয় তো আছেই। মানুষ মারা গেলে দায় নেবার ভয়ও আছে। এখন একটাই কাজ সবার, নিজে বাঁচি, অন্যকে বাঁচতে দিই। তাই রাষ্ট্র লোকজনকে ঘরের বাইরে যাওয়া ঠেকাতে তৎপর। সাধু উদ্দেশ্য সন্দেহ নেই। বরং আরও অনেক আগেই কঠোর হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও মন্দের ভালো। কিন্তু সবই চলছে কেতাবের বাইরে। কোন তালাবন্দির ঘোষণা নেই। সে ফরমান জারি হয় নি। কেন হয় নি তা নিয়ে নানান ধাঁধা, নানান তরজা। মানে, দেশ স্বাভাবিক! রাসেলের মা কাজের বুয়া। বাড়ি ভোলায়। স্বামী, ছেলে ঢাকায় রিক্সা চালান। এখন কারো কাজ নেই। ঢাকা শহরে থাকেন ঝুপড়িতে। কিন্তু খাবেন কি? কাজ বন্ধ। রাসেলের মা গত মাসে বাসা বাড়িতে কাজ করে বেতন পেয়েছিলেন। এক সপ্তাহ আগেই তাকে বেতন দিয়েছেন যাদের বাসায় ঠিকা কাজ করতেন। কিন্তু এ মাসে কাজে যেতে পারছেন না। বাসাবাড়িতে ঢোকা নিষেধ। তাহলে চলবে কী করে? রাসেলের মার মত অগণন মানুষ এখন ঢাকা বা অন্য শহরে বন্দি হয়ে আছেন। নিজ গ্রামে ফিরে যাবার রাস্তা নেই। দেশ তালাবন্ধ নয়। কিন্তু গ্রামে ফিরে যাবার উপায় নেই। বাস ট্রাক লঞ্চ সব বন্ধ। সারা বাংলাদেশে এমন পরিবারের সংখ্যা না হলেও এক কোটি ।
রাসেলের মা ঢাকা শহরের মোহাম্মাদপুরের বসিলায় থাকেন। সেখানে খাবার দেবার জন্য তালিকা করা হয়েছে। সেটা নাকি ভোটার তালিকা দেখে। ওরা ভোলায় ভোটার। তাই বসিলার তালিকায় তাদের নাম উঠবে না। তালিকায় নাম না উঠলে খাবার মিলবে না। এমন নিজের ঠিকানার বাইরে থাকেন কত পরিবার? তাদের খাবার জুটবে কী করে?
এ এক আজব নিয়ম। এদের সবার আছে জাতীয় পরিচয়পত্র। শিশুদের আছে জন্ম নিবন্ধনপত্র। আইন মতে, প্রত্যেকের নাম্বার আলাদা আলাদা। একট সার্ভারেই সব ডেটা রাখা আছে। সে ডেটা ব্যবহার করে মোবাইল সিম কেনা যায়, বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়, ব্যাংকে একাউন্ট খোলা যায়। টাকা লেনদেন করা যায়। পাসপোর্ট পাওয়া যায়। পুলিশ তা ব্যবহার করে চটজলদি আসামী ধরতে পারে। আদালতে হাজিরা দেয়া যায়। কিন্তু না খেয়ে মরে গেলেও দু মুঠো খাবার পাওয়া যায় না! আজব দেশ, আজব ব্যবস্থা।
করোনা ভয়ে জানুয়ারি থেকেই দুনিয়া জুড়ে ভয়, আতংক। কর্তারা অভয়বাণী শুনিয়েছেন আমাদের। বলেছেন, সব তৈরি আছে। কিন্তু বোনা রসুন তুলতে ক’দিন মাত্র সময় চাই। আমাদের খাদ্য ভাণ্ডার বিশাল। বিত্তের হিমালয় এখন বাংলাদেশ। দ্রুততম সময়ে ধনকুবের হবার এমন দেশ দুনিয়ায় আরেকটা নেই। কাজেই এ দুনিয়ায় বাংলায়ই একমাত্র নিরাপদ। কিছু মানুষ ফেরেস্তাবত। তারা ভূত, ভবিষ্যৎ সব জানেন। বাচাল। তাদের কথায়, করোনা অতি ক্ষুদ্র জীব। শক্তিশালী যন্ত্র দিয়ে দেখতে হয়। তুলনায় আমরা হাতীর মতই বিপুল দেহী। ওই ওঁচা করোনা আমাদের কিসসু করতে পারবে না! এমন কি, এ মুলুকে ফিরে তাকাবার হিম্মতই হবে না। সেসব মহাবীর রুস্তমদের এখন দেখা মিলছে না। বিশাল খাদ্য ভাণ্ডার আর ব্যাংকভরা টাকা কখন কীভাবে ফতুর হল দেশের মানুষ জানতে পারল না!
বাংলাদেশে সরকারি হিসেবেই শতকরা ২২ ভাগ গরিবি লাইনের নিচে। এদের থাকার কোন জায়গা নেই। রাস্তার পাশে, বাস-রেল স্টেশনে, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাটে, হাট-বাজারে এদের রাত কাটে। শীত গ্রীষ্ম নেই, রোদ বর্ষা নেই। অনেকে আবর্জনা ঘেঁটে খাবার কুড়িয়ে খান। পরনে যেটুকু নেংটি তা না পরারই সমান। সোজা কথায় প্রায় চার কোটি মানুষের একবেলা একমুঠো ভাতও জোটে না। যাদের ভাত জোটে না, খাবার জোটে না তাদের চিকিৎসার কথা ভেবে লাভ কি? তারা বেঘোরে মরেন। করোনায় তারা আগে মরবেন।
এ দেশে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ কোনরকম বেঁচে থাকেন। তারা থাকেন বস্তিতে। সেখানে গুনতে হয় দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি ভাড়া। সাথে মাস্তান, পাতি-উপনেতা পুলিশের চাঁদা, মারপিট, ইজ্জত খোয়ানো, খুন হওয়া তো অতি সাধারণ ঘটনা। আছে হঠাৎ আগুন দিয়ে সব পুড়িয়ে তাড়ানোর ব্যবস্থাও।
আছেন গ্রামের দিনমুজুর, ছোট দোকানি, ভ্যান নসিমন বাস ট্রাকের ড্রাইভার কন্ডাকটর হেলপার, লঞ্চের সারেং। চোরাচালানি, মুটেমুজুর। গারমেন্টস শ্রমিক। দালাল, পণ্য বেচাকেনার মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া। টাউট। এ তালিকা অনেক লম্বা। আর আছেন প্রবাসী শ্রমিক। রক্ত পানি করা টাকা দেশে পাঠিয়ে রাজকোষ ভরে রাখেন ঋণ বিলাসী আর মানি লন্ডারারদের দরবেশ বানাতে। এরাই সংখ্যায় বেশি। যাদের গতর ঘামানো শ্রমে এদেশে এত আলিশান বাড়ি, এত গাড়ি, এত বিত্ত-বৈভবের রোশনাই তারাই সবচেয়ে অরক্ষিত।
কোটি দুয়েক সম্পন্ন কৃষক। কেউ ধান ফলান, কেউ মাছের বা সবজী চাষ করেন। কেউ মাঝারি ব্যবসায়ী। আছেন মেম্বার, চেয়ারম্যান, উপনেতা, পাতি নেতা। এদের গা গতরে একটু চিকনাই আছে। এদের সাথে গরুর খামারি।
প্রায় কোটি তিনেক মানুষ আছেন যাদের আজ কাজ আছে তো কাল নেই। এদের আছে লম্বা কাগজে লেখা সার্টিফিকেট। তা বুকে ঝুলিয়ে আজ এখানে, কাল ওখানে ছুটে বেড়ানো নিত্য দিনের রুটিন। এদের যৌবন ভরা দেহ। কর্মোপযোগী। কিন্তু তারা নাকি অযোগ্য; দক্ষতা নেই; মামা খালু নেই; রাজনীতিতে উপরে ওঠার সিঁড়ি অজানা। দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে মরেন তারা। শেষ সম্বল বেচে তুলে দেন দালালচক্রের হাতে। তারপর কপাল চাপড়ান। কপালকে দোষেন। অথচ এরাই হতে পারতেন দেশ গড়ার আসল কারিগর। মূল ভিত্তি। শক্ত বুনিয়াদ গড়ে দিতে পারতেন দেশের। কিন্তু তা হয় নি। সে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার দোষ। আছেন লাখ খানেক শিক্ষক নামের বেগারি। তাদের কাজ আছে, মাইনে নেই। পুরো যৌবন তারা বেগার খেটে যাচ্ছেন। এর কোন শেষ নেই।
আছেন পেয়াদা পাইক বরকন্দাজ। এরা পরের ধনে পোদ্দারি করেন। গাড়ি হাকান। বিদেশ সফরে যান। আছে লাগেজ পার্টি। এভাবেই তাদের দিন গুজরান। কিন্তু এখন সব থেমে গেছে। অফিস বন্ধ, তাই নিত্য রোজগারে যারা বিলাসী দিন কাটাতে অভ্যস্থ তাদেরও এখন কম দুর্দিন নয়। রোজকার রোজগার বন্ধ। এখন সঞ্চয় ভেঙে বসে বসে খাওয়া ছাড়া পথ নেই।
তবে পথ আছে কারো কারো। তারা সক্রিয়। কাজটা পুরনো। চুরি। রিলিফ চুরি, সরকারি মাল চুরি, টাকা চুরি। কিছু কিছু ধরা খেয়েছে। তাদের কপালে রাজনীতির তিলক আঁকা। পাবলিক এখন পেটের দায়ে তক্কে তক্কে থাকে। রিলিফ চুরি করা তাই একটু কঠিন বটে। এনজিওগুলো বহুকাল ধরে আঙুল চুষছিল। দেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। বিদেশে প্রচার অচিরেই ধনী হবে বাংলাদেশ। মুরুব্বিরা হররোজ সে বয়ানে তাল দিচ্ছিলেন। তাই তাদের ভাঁড়ে অনেক দিন কিছু জুটছিল না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে কিছু মেলে বটে। এখন করোনাকালে অনেকেই লম্বা ফর্দ বানাচ্ছেন। তবে এবার সারা দুনিয়ায় আকাল। কে কাকে দেবে তার ঠিক নেই। তবু চেষ্টা করতে দোষ কী? তারাও সক্রিয় হচ্ছে।
কিন্তু দেশের মানুষ জানে, ধনী হচ্ছে অল্প কিছু মানুষ। বিপরীতে গরিবি বাড়ছে। বৈষম্য বাড়ছে আকাশ-পাতাল। এখন দুই অর্থনীতির তত্ত্ব দেবার একজন রেহমান সোবহান বা নূরুল ইসলাম বাংলাদেশে নেই। একজন মাওলানা ভাসানী, একজন বঙ্গবন্ধু নেই। যাদের চোখে ধরা পড়বে এসব বৈষম্যের ছবি। আছেন জাতীয় বড় বড় পদ বাগিয়ে নেয়া বুদ্ধি বিকিয়ে খাওয়া কিছু মানুষ। তাদের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীরা নাকি প্রথম প্রতিবাদী হন, সব দেশে, সব কালে। কবিতার ভাষা এখন প্রতিবাদের নয়, পদলেহনের। বাংলাদেশ এখন কবিশূন্য। তাই দেশে রচিত হয় না কোন প্রতিবাদী সাহিত্য। কবিরা এখন আবদার করে পুরস্কার জেতেন। গলায় মেডেল ঝুলিয়ে আরও বড় কবি বলে নিজেদের জাহির করতেশরম করে না। সেটাই নাকি দস্তুর এখন।
কে আঁকবেন এ আকালের ছবি? মানিক নেই, জয়নুল নেই। কে দেখাবেন স্বপ্ন? সুলতান নেই। শুধু নিকষ কালো অন্ধকারে বসে আর কতক্ষণ পারা যায়? না, একটা ছবি আঁকতেই হবে। আশার ছবি, বেঁচে থাকার স্বপ্ন। যে ছবি পথ দেখাবে, আশা জাগাবে। মানুষ আশা নিয়ে বাঁচে।
সে ছবি আগামি কাল।
আমিরুল আলম খান, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান
[email protected]