বিদেশফেরতরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন চৌগাছায় ॥ আতঙ্কে এলাকাবাসী

0

চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোরের চৌগাছায় সরকারি নির্দেশনা না মেনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিদেশফেরত ব্যক্তিরা। তারা সরকারি নিয়ম মানছেন না। শুক্রবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মালদ্বীপ ফেরত এক ব্যক্তিকে জরিমানা করেছেন। আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম। জানা যায়, ১৭ মার্চ মঙ্গলবার মালয়েশিয়া থেকে ফেরেন উপজেলার তেঘরি গ্রামের সোহাগ হোসেন। ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে ফেরেন শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের করিগরপাড়া গ্রামের রাসেল। একইদিন দেশে ফেরেন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তারানিবাস গ্রামের এক ব্যক্তি। সবাই প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিদেশফেরত এসব ব্যক্তি পৌর কমিশনার/ইউপি সদস্যদের কথাও শুনছেন না। তাদের এভাবে প্রকাশ্যে শহরে ঘুরে বেড়ানোর কারণে শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, ১৩ মার্চ ইতালি থেকে ফেরেন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জিওলগাড়ি-বেলেমাঠ গ্রামের শরিফুল ইসলাম। তিনি কোনভাবেই সরকারি নির্দেশনা মানতে রাজি নন। কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে স্থানীয়দের তিনি বলেন, ‘আমি একমাস আগে দেশে এসেছি। সিলেটে শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম। আমাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকা লাগবে না’। ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন হাজরাখানা গ্রামের প্রবীর পাল নামে এক ব্যক্তি। পরদিন সকাল থেকে তিনি কুষ্টিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন। ১৫ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন পেটভরা-মাঠপাড়া গ্রামের ইয়াসিন আলী মিন্টু। তিনিও সোমবার চৌগাছা শহরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ১১ মার্চ মালদ্বীপ থেকে দেশে ফেরেন ভগবানপুর গ্রামের আয়ূব হোসেন। তিনিও সরকারি নির্দেশনা না মেনে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। এদিকে পুড়াপাড়া বাজারের পাশে অবস্থিত সুমি কিনিকের সামনের বাসিন্দা মিঠু সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসেছেন সোমবার। তিনি সরকারি নির্দেশনা বা স্থানীয় মেম্বারের কথা না শুনে প্রকাশ্যে পুড়াপাড়া ও চৌগাছা বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির বাসস্থান চৌগাছা উপজেলার বাইরে হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১২ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার মোট ১২ ব্যক্তিকে এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। শুক্রবারও অভিযান চালিয়ে বিদেশফেরত এক ব্যক্তিকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।