তালায় সড়ক সংস্কার করতে গিয়ে গাছ উপড়ে ফেলা হচ্ছে নদীতে

0

তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা॥ সড়কে মাটি দেওয়ার সময় সাতক্ষীরার তালায় সরকারি গাছ স্কেভেটর দিয়ে উপড়ে নদীতে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক গাছ উপড়ে পাপুড়ীয়া নদীর মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অথচ সড়কের পাশের কোনো গাছ কাটতে হলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে তালার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস বসু ট্রেডার্স সড়ক নির্মাণের নামে গাছ কেটে নদীতে ফেলেছে। তবে সড়কের দায়িত্বে থাকা তালা উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিজন কুমার মন্ডল বলেন, এমন কোনো নিয়ম নেই। যদি ঠিকাদার করে থাকেন, তাহলে অন্যায় করেছেন।
সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী দপ্তরের (এলজিইডি) তত্বাবধায়নে তালা উপজেলার হরিহরনগর-মহিষাডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। কাজের মেয়াদ প্রায় শেষ হলেও এখন ৩০ ভাগ কাজ হয়নি। বর্তমানে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে সড়কের দু’পাশে বাঁধের কাজ চলছে। এসময় সড়কের পাশে থাকা বড় বড় শিশু গাছ স্কেভেটর দিয়ে উপড়ে নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুুপুরে হরিহরনগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একটি স্কেভেটর মেশিন সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে সড়কে ফেলছে। মাটি কাটার সময় সামনে গাছ থাকলে সেটাকে উপড়ে নদীর ভেতরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এসময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। কথা বললে নানাভাবে হয়রানি করবে। তারা সড়কের গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। এভাবে করলে এলাকায় কোনো গাছ থাকবে না। তালা উপজেলা প্রকৌশলী মফিজ মোল্ল্যা জানান, সড়কের পাশে কোনো গাছ থাকলে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কাটতে হবে। তাছাড়া গাছ কাটা অন্যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বসু ট্রেডার্সের মালিক কল্যাণ বসু জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান নিজে থেকে কাজ করাচ্ছেন। উনি করলে করতে পারেন। বিষয়টি আমি জানিনা। তবে খেশরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজিব হোসেন রাজু জানান, বিষয়টি আমি জানিনা। ঠিকাদার কল্যাণ বসু জানেন। তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি শুনলাম। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাতক্ষীরা জেলা প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র সরকার জানান, সড়কের গাছ কাটতে হলে অনুমতি নিয়ে কাটতে হবে। অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটা সম্পূর্ণ বেআইনি। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।