যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মৃত রোগীকে রেফার্ড

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক মৃত এক রোগীকে ‘উন্নত চিকিৎসার’ জন্যে অন্যত্র রেফার্ড করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জরুরি বিভাগে জেহের আলী (৬৫) নামে ওই রোগীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানোর পর পরই ডা.আহমেদ তারেক শামস্ জেহের আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।এরপর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়। একই সাথে মৃত্যু রিপোর্ট ও ছাড়পত্র কোতয়ালি থানায় পাঠানো হয়। জেহের আলীর বাড়ি শার্শা উপজেলার কন্যাদহ গ্রামে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে পারিবারিক গোলযোগের জের ধরে জেহের আলী কীটনাশক গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি খাতায় তার রেজিস্ট্রেশন নং-১২০৪২/১০০। মৃতের ছেলে মো. আলিম ও শ্যালক লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, জেহের আলীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি ঘটে। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে রোগীর শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় শ্বাস-প্রশ্বাসও। কিন্তু হাসপতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা না করে ২টা ৫৪ মিনিটে খুলনা অথবা ঢাকায় হাসপাতালে আইসিইউতে রেফার্ড করেন। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়ার জন্য স্বজনরা ২ হাজার টাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন এবং তাকে ওই অ্যাম্বুলেন্সে ওঠান।

এ সময় রোগীর অবস্থা দেখে সন্দেহ সৃষ্টি হলে জরুরি বিভাগকে জানানো হয়। তখন অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আহমেদ তারেক শামস্ জেহের আলীকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বজনদের জানান, জরুরি বিভাগে দেরিতে আনা হয়েছে। ১ ঘন্টা আগেই রোগী মারা গেছে। তখন রোগীর স্বজনরা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, রোগী ওয়ার্ডে আগেই মারা গেছে। কিন্তু মেডিসিন ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. লাবণ্য মজুমদার মৃত ঘোষণা করেননি। তিনি মৃত রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কিংবা খুলনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।

এতে তারা চরম হয়রানির শিকার হয়েছেন। স্বজনরা ইন্টার্ন চিকিৎসকের অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতার অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. লাবণ্য মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। টিকিট দেখে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলেন, কোন চিকিৎসক রেফার্ড করেছে তার জানা নেই। টিকিটে রেফার্ডকারী চিকিৎসকের স্বাক্ষর নেই। অথচ, রোগীর ছাড়পত্রে ডা. লাবণ্যের স্বাক্ষর রয়েছে।