এত এত গোল করেও মনে আনন্দ কই!

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছেন সাবিনা-মনিকারা। এমনই অবস্থা যে বসুন্ধরা কিংসের আক্রমণ সামলাতেই পুরোটা সময় ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে স্পার্টান এমকে গ্যালাকটিকো সিলেট এফসিকে। শেষ পর্যন্ত ১৩ গোলে নাস্তানাবুদ হয়েছে সিলেটের দলটি। এর মধ্যে হ্যাটট্রিক পেয়েছেন করেছেন সাবিনা খাতুন ও মনিকা চাকমা। তবে প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দিয়েও সাবিনা ও মনিকার মনে যেন তেমন আনন্দ নেই। প্রতিপক্ষ এমনই এলেবেলে যে টানা দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জিতেছে বসুন্ধরা। একটু কঠিন প্রতিপক্ষ হলেই নিজেদের পারফরম্যান্স দেখানোর আরও সুযোগ হতো। এমনটি বলে মিডফিল্ডার মনিকা চাকমার কথা, ‘যদি আমরা আরও ভালো দলের বিপক্ষে খেলার ‍সুযোগ পেতাম তাহলে ভালো হতো। নিজেদের উন্নতির সুযোগ হতো। তবে এখন যা হচ্ছে তাও খারাপ না। অনেক দিন পর খেলার সুযোগ পাচ্ছি। এটাও তো কম না।’
২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ-১৪ ফুটবলে তাজিকিস্তানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন মনিকা। এবার ঘরোয়া লিগে দীর্ঘদিন পর হ্যাটট্রিক পেয়ে উচ্ছ্বসিত, ‘অনেকদিন পর লিগ শুরু হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল গোল বেশি দেওয়া। জমাট করে খেলা। লিগে আগের ম্যাচে গোল পাইনি। এবার গোলের লক্ষ্য নিয়ে নেমে সফল হয়েছি, হ্যাটট্রিকও পেয়েছি। আমাদের স্যাররা বলেছে গোল বাড়াতে হবে। সেটাই করেছি। ভালোই লাগছে।’ সাবিনার চেয়ে মনিকার ভাবনাটা একটু অন্যরকম, প্রতিপক্ষ তার চোখে ততটা দুর্বল নয়, ‘দুর্বল বললে চলবে না। ওরা নিচে নেমে খেলেছে। খেলাটা ৫০-৫০ হলে ভালো হতো। চেষ্টা করবো সামনের দিকে আরও ভালো খেলার। লিগে যারা খেলছে তাদের জন্য ভালো সুযোগ। বিশেষ করে নতুন যারা এসেছে তাদের প্রমাণের।’ মেয়েদের ফুটবল লিগে হ্যাটিট্রিকের ছড়াছড়ি। এখন পর্যন্ত ৭ হ্যাটট্রিক হয়েছে ৭টি, বসুন্ধরা কিংসেরই ৪টি। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন একাই করেছেন দুটি হ্যাটট্রিক। ম্যাচ শেষে সাবিনা বলেছেন, ‘ঘরোয়া লিগে আগেও আমার টানা হ্যাটট্রিক আছে। এটা নতুন কিছু না। হ্যাঁ, প্রতিপক্ষ ভালো হলে খেলতে ভালো লাগতো। তখন নিজেদের আরও ভালোভাবে প্রমাণের সুযোগ আসতো। তবে মনে হচ্ছে সামনের ম্যাচে প্রতিদ্বন্দিতা হবে। সেখানে নতুন করে পরীক্ষা হবে।’ লিগটা যতই একপেশে হোক, লিগ যে হচ্ছে এতেই খুশি সাবিনা, ‘ দলগুলো এখন যে মানের আছে তা নিয়েই খেলতে হবে। সবাই খেলার সুযোগ পাচ্ছে এটাও কম কিছু না।’