পুলিশের বিরুদ্ধে অর্থবাণিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন বটিয়াঘাটায়

0

বটিয়াঘাটা (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রেস কাবে রবিবার বিকাল ৩ টায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও ভয় দেখিয়ে অর্থ বাণিজ্যের হাত থেকে রেহাই পেতে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন উপজেলার তালবুনিয়া বিরাট গ্রামের মৃত কাওসার আলীর পুত্র মো. একরাম শেখ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ’আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একই এলাকার আলহাজ আবুল বাসারের স্ত্রী তাহসিনা বেগম স্থানীয় থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানার এস আই সাকিব, এএসআই জাহিদ ও কনস্টেবল মিজান ও তাদের দালাল বিরাট গ্রামের আশরাফুল আমাদের বাড়িতে এসে মামলার ভয়ভীতি দেখান। মামলা ঠেকাতে হলে ওসি (তদন্ত) মোস্তফা হাবিবুল্লাহকে ম্যানেজ করতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় বাড়িতে বসে এসআই টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এএসআই জাহিদ ও কনস্টেবল মিজান গালিগালাজসহ ভয়ভীতি দেখান। তারা বারবার ওসি (তদন্ত) মোস্তফার সাথে কথা বলতে থাকেন। তখন আমরা ভয় পেয়ে বাড়ির সকলের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা নিয়ে তাদের হাতে তুলে দিই। দাবিকৃত বাকি টাকার জন্য তারা একদিন সময় দেন। পরের দিন টাকা দিতে না পারায় এসআই সাকিব, এএসআই জাহিদ, ওসি (তদন্ত) মোস্তফা বিরাট ঘাটের নদীরপাড়ে আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করে মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে চলে যান। তাৎক্ষণিক আমি বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি এসআই সাকিবকে ফোন করে মামলা না করার জন্য বলেন এবং উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসি করে সমাধানের অনুরোধ জানান। এ ঘটনায় পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন সন্ধ্যার আগে আমার মেঝ ছেলে ইমদাদুলকে বিরাট খেয়াঘাট চায়ের দোকান থেকে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি ওসি মো. রবিউল কবীরকে অবগত করলে তিনি এসআই সাকিবকে প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানান। বর্তমানে এসআই সাকিব ও ওসি (তদন্ত) মোস্তফা দালালের মাধ্যমে আমার মেঝ পুত্র ইমদাদুল, ভাইপো মামুন শেখ ও আমার ভাই এখতিয়ার শেখকে পেন্ডিং মামলায় চালন দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে বাকি টাকা দাবি করছেন। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।