৩০টি সোনার বার জব্দ, আটক দুই জন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বড়আঁচড়া ভাঙ্গার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০টি সোনার বারসহ দুই জনকে আটক করেছে। তবে আটকের পর দুই জনকে বিজিবি কার্যালয়ে চোখ ও হাত বেঁধে বসিয়ে রাখার ঘটনায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিজিবি জানায়, আজ শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বড়আঁচড়া ভাঙ্গার মোড় এলাকা থেকে ইকবাল হোসেন (৩৪) ও ওমর ফারুক (৩৪) নামে দুজনকে আটক করা হয়। দুপুরে ৪৯ বিজিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সেলিম রেজার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৯টার দিকে বেনাপোল বিওপির নায়েক মো. নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে চোরাচালান বিরোধী একটি টিম অভিযান চালিয়ে ৩০টি সোনার বারসহ ইকবাল হোসেন ও ওমর ফারুককে আটক করেন। উদ্ধার করা বারগুলোর ওজন ৩ কেজি ৪৯৮ গ্রাম এবং মূল্য আনুমানিক দুই কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০০ টাকা। আটক ইকবালের বাবার নাম মৃত আব্দুর রাজ্জাক এবং ওমরের বাবার নাম আজিজুর রহমান। তাদের উভয়ের বাড়ি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বড়আঁচড়া গ্রামে।
এদিকে, সোনারবারসহ দুজনকে আটকের পর তাদের চোখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে এবং দুই হাত পেছন থেকে বেঁধে বিজিবির যশোর কার্যালয়ে রাখার ঘটনায় সাংবাদিকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে দাবি করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি এমএ গফুর। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। কোনও আসামির সঙ্গে নিপীড়নমূলক কোনও আচরণ করার সুযোগ নেই।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সেলিম রেজা এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমরা সাধারণত আসামিদের সঙ্গে এমন আচরণ করি না। কিছুক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্যে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আপনি যেহেতু নোটিশ করেছেন, আমি বিষয়টি দেখছি। আগামীতে এমন যাতে না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, গত ৪ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় ফেনসিডিলের বোতল দিয়ে দেশের মানচিত্র তৈরি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিজিবি। কুষ্টিয়ার মিরপুরে মাদকদ্রব্য ধ্বংসের অনুষ্ঠানে ৪৭ বিজিবি এমন ঘটনা ঘটায়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়ে।