ছাত্রীদের পর্নো ছবি দেখালেন শিক্ষক, অতঃপর…

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ছাত্রীদের পর্নো ছবি দেখানোর অভিযোগে ভারতের আওরঙ্গবাদে এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে বুধবার চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। অভিযোগ আছে, অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া তিন ছাত্রীকে ওই শিক্ষক নিজের কেবিনে ডেকে নেন গত ৬ই জানুয়ারি। সেখানে তিনি মোবাইল ফোনে তাদেরকে পর্নো ছবির ক্লিপ দেখান। আস্তে আস্তে প্রকাশ পেতে থাকে এ খবর। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীদের একজনের অভিভাবকরা এ মাসের শুরুর দিকে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ জানান। এর ফলে গত সপ্তাহান্তে তদন্ত করতে ওই স্কুলে যায় পুলিশের একটি টিম। তারা ওই তিন ছাত্রীর বক্তব্য রেকর্ড করে।
এ খবর দিয়ে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যাশলেশা পাতিল বলেছেন, কোনো অভিভাবক অভিযোগ নিয়ে সামনে আসতে রাজি না হওয়ায় ওই সময় কোনো মামলা হয় নি। কিন্তু এ খবর স্কুলের মধ্যে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে। সব জানাজানি হয়। ফলে মঙ্গলবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন বিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। একই সঙ্গে ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগকারী তিন ছাত্রীর বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে এই মামলা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা বলে ওই তিন ছাত্রীকে তার কেবিনে ডেকে নেন। কিন্তু এ সময়ে তিনি তাদেরকে তার মোবাইল ফোনে পর্নো ছবির ক্লিপ দেখান। পরে ওই ছাত্রীদের সতর্ক করে দেন, এ কথা কাউকে বললে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ছাত্রীরা এ ঘটনা স্কুলের কিছু শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করে। অ্যাশলেশ পাতিল বলেন, এক ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের একজন এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে সিটি পুলিশের দামিনি স্কোয়াডে একটি চিঠি লিখেছেন। ওই ঘটনার পর নারী পুলিশের একটি দল গত সপ্তাহে দু’বার ওই স্কুলে যায়। সেখানে রেকর্ড করা হয় ছাত্রীদের বক্তব্য। কিন্তু ওই সময় অভিভাবকরা মামলা নিবন্ধিত করাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু বেশ কিছু অভিভাবক কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তোলার পর পুলিশই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
এ বিষয়ে স্কুল ব্যবস্থাপনা পরিষদ বলেছে, তারা বুধবারই ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করছে। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষকের প্রতি নমনীয়তা দেখাচ্ছেন অধ্যক্ষ। কিন্তু তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, কাউকে মদত দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করেছি।