পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ হোক না অনূর্ধ্ব-১৯ দল, এরপরও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের খেলা বলে কথা! ‍যুব বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনাকর লড়াইয়ের প্রত্যাশা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু না, পচেফস্ট্রুমের সেমিফাইনাল হলো বড্ড একপেশে। দুর্দান্ত ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তান। যশস্বী জয়সওয়ালের সেঞ্চুরিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ১০ ‍উইকেটে উড়িয়ে ফাইনালে উঠে গেছে ভারত। এটাই যুব বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ১০ উইকেটের জয়ের প্রথম ঘটনা।
এতে টানা তৃতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দুই বছর আগে শিরোপা জেতার আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের আসরে ভারত রানার্স-আপ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে। দক্ষিণ আফ্রিকার এবারের প্রতিযোগিতায় ফাইনাল লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল জয়ী। আক্ষরিক অর্থেই পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ১০ উইকেটের জয়ই বলে দেয় কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে তারা সেমিফাইনালে। শুরুতে ছিল ভারতীয় বোলারদের দাপট, তাদের সামনে ৪৩.১ ওভারে মাত্র ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। সহজ এই লক্ষ্য কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩৫.২ ওভারে টপকে যায় ভারত। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে শিরোপা জেতার পথে সেমিফাইনালে এই পাকিস্তানকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছিল ভারত। জেতার জন্য দরকার ৩ রান, অন্যদিকে জয়সওয়াল স্ট্রাইকে ৯৯ রান নিয়ে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ডিপ মিড-উইকেটের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের সেঞ্চুরির সঙ্গে ভারতকে নিয়ে যান ফাইনাল মঞ্চে। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার সময় তার নামের পাশে ১০৫ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা এই ওপেনার ১১৩ বলের ইনিংসটি সাজান ৮ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায়। আরেক ওপেনার দিব্যাংশ সাক্সেনা অপরাজিত ছিলেন ৫৯ রানে। ৯৯ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৬ বাউন্ডারিতে।
এর আগে পচেফস্ট্রুমের সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান ৪৩.১ ওভারে গুটিয়ে যায় মাত্র ১৭২ রানে। পাকিস্তানের মাত্র তিন ব্যাটসম্যান যেতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরে। তাদের অল্পতে আটকে রেখে ভারতীয় বোলাররা কাজটা সহজ করে দেন ব্যাটসম্যানদের। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ৩৪ রান তুলতে হারায় ২ উইকেট। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছিল। কিন্তু শেষ দিকে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১৭২ রানে শেষ ইনিংস। ৫৪ রান তুলতে হারায় তারা শেষ ৬ উইকেট! অথচ ওপেনার হায়দার আলী ও অধিনায়ক রোহেল নাজিরের ব্যাটে একসময় বড় স্কোরের স্বপ্নই দেখছিল পাকিস্তান। হায়দার ৭৭ বলে ৯ বাউন্ডারিতে খেলে যান ৫৬ রানের ইনিংস। তবে তার বিদায়ের পর ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। রোহেল একপ্রান্ত আগলে রাখলেও সঙ্গী পাননি। মাঝে মোহাম্মদ হারিস ২১ রান করে জুটি বাঁধার চেষ্টা করেও পারেননি। পরে রোহেলের প্রতিরোধ শেষ হয় ৬২ রানে আউট হয়ে। ১০২ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৬ বাউন্ডারিতে। ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার সুশান্ত মিশ্র। বাঁহাতি পেসার ২৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এই ম্যাচেও আলো ছড়িয়েছেন কার্তিক ত্যাগী, ৩২ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট। রবি বিশনোইও নিয়েছেন ২ উইকেট।