সোলাইমানির জানাজায় কাঁদলেন খামেনি

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ‘কমান্ডার অব হার্টস’-এর জানাজায় কাঁদলেন ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা বা ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি। তিনিই সোমবার ইউনিভার্সিটি অব তেহরানে কুদ্‌স ফোর্সের নিহত কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও তার সঙ্গে নিহত অন্যদের জানাজা পড়ান। এ সময় আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে কাঁদতে দেখা যায়। এ সময় হাঁউমাউ করে কাঁদেন উপস্থিত জনতা। জানাজা শেষে সুলেইমানির প্রতি শেষ প্রদ্ধা জানান তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও তেহরান টাইমস। এতে বলা হয়, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে এই শেষ শ্রদ্ধা প্রদর্শন শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা জানানোর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই তেহরানের রাস্তায় নামে শোকার্ত জনতার ঢল।
জানাজা শেষে সোলাইমানির লাশ রাখা হবে আজাদি স্কয়ারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন। পরবর্তীতে আরেকটি আনুষ্ঠানিকতার জন্য তার দেহ নিয়ে যাওয়া হবে কোম নগরীতে। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ এই নেতার দাফন সম্পন্ন হবে মঙ্গলবার কেরমান শহরে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, তেহরানে জনতার ঢল। তিল ধারণের স্থান নেই যেন। সেখানে জনতা তাকে একজন জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়েছে। সুপ্রিম নেতা খামেনির পরে তাকে দেখা হতো দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে। শোকাহত জনতার হাতে এদিন ছিল প্রয়াত নেতার পোট্রেট ছবি। সেই ছবি হাতে নিয়ে তারা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে কাসেম সোলাইমানির তেহরানের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এ সময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পারছে না তারা আসলে কী ভয়াবহ অন্যায় করেছে। যেদিন এই অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হাত চিরদিনের জন্য কেটে ফেলা হবে সেদিন এই রক্তের বদলা নেয়া হবে। সুলেইমানির জানাজায় তার নেতৃত্বাধীন কুদস ফোর্সের নতুন কমান্ডার জেনারেল ইসমাইল গণি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সহ ইরানের সামরিক ও সরকারি সকল ক্ষেত্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন, ফিলিস্তিনি হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ে। এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুলেইমানির দেখানো পথই অনুসরণ করবে তার দল।