প্রার্থীরা আশায় ভোটাররা সংশয়ে

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ যাচাই-বাছাইয়ের পর ঢাকার দুই সিটিতে মোট ১৩ জন মেয়র প্রার্থী ভোটযুদ্ধে নামছেন। উত্তর সিটিতে বাদ পড়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী। চূড়ান্ত প্রার্থীরা এখন আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণায় নামার অপেক্ষায়। চলছে ঘরোয়া প্রস্তুতি। চূড়ান্ত লড়াই হবে আওয়াম লীগ ও বিএনপির চার প্রার্থীর মধ্যে। প্রার্থীরা আশার কথা শোনালেও ভোটারদের মধ্যে রয়েছে নানা শঙ্কা। বিগত নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতা সুখকর না হওয়ায় এমন শঙ্কা দানা বাধছে ভোটারদের মনে। এছাড়া এবার দুই সিটিতে প্রথম বারের মতো সম্পূর্ণ ইভিএমে নির্বাচন হবে।
৫৪ লাখ ভোটারের ইভিএসে ভোট গ্রহণকে অনেকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন। মেশিনে ভোট দেয়া নিয়ে প্রার্থী এবং ভোটারদের মাঝে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যদিও সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বরাবরই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন, নির্বাচন সুষ্টু হবে। এজন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাধারণ ভোটারদের ওপর আস্থা রেখে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিরোধী বিএনপির প্রার্থীরাও। তারা বলছেন, ভোট সুষ্ঠু হলে নির্বাচনে তারা বিজয়ী হবেন। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা এবং সংশয়ে আছেন বিএনপির প্রার্থীরা। গতকাল বিএনপি সমর্থিত একজন প্রার্থী গ্রেপ্তার হওয়ায় এ শঙ্কা আরও বেড়েছে। প্রার্থীরা বলছেন, ১০ই জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রকৃত চিত্র বোঝা যাবে। আর চূড়ান্ত বিচারে কেমন ভোট হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে আগের নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতা তাদের তাড়া করছে। এজন্য ভোটের বিষয়ে অনেকে তেমন আগ্রহী না। ভোটাররা বলছেন, আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা শুরু হলে আসল পরিস্থিতি বোঝা যাবে।
দুই সিটিতে ৯ দলের ১৩ মেয়র প্রার্থী: ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনে (উত্তর-দক্ষিণ) মনোনয়ন বাছাই পর্বে ১৩ জন মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। ৯টি রাজনৈতিক দলের দক্ষিণে ৭ জন ও উত্তরে ৬ জন প্রার্থী সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আর ভোটার না হওয়ায় উত্তরে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ দলীয় সাত প্রার্থীর সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল রাজধানীর গোপীবাগে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন এ সিদ্ধান্ত দেন। বৈধ মেয়র প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রহমান, এনপিপির বাহারানে সুলতান বাহার, গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ। উত্তর সিটি করপোরেশনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, বিএনপির তাবিথ আউয়াল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ, পিডিপির শাহীন খান, এনপিপির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহম্মেদ সাজ্জাদুল হক। সিটি করপোরেশনের ভোটার না হওয়ায় জাতীয় পার্টির জি এম কামরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। উত্তর সিটিতে কাউন্সিলর পদের ১৭ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়। দক্ষিণে ২৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
কার কতো সম্পদ: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বড় দুই দলের চার প্রার্থীর মধ্যে তিনজনেরই ঋণ রয়েছে। হলফনামা থেকে জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল তার ব্যবসায়িক ঋণ রয়েছে ৩০২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। দক্ষিণে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের হিসাব অনুযায়ী ইশরাকের ক্রেডিট কার্ড, স্বল্পমেয়াদি ঋণ মিলিয়ে দেনার পরিমাণ ৬৫ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪৩ টাকা। তবে আওয়ামী প্রার্থী ফজলে নূর তাপসের কোনো ঋণ নেই। হলফনামা অনুযায়ী জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত ঋণ রয়েছে ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যদিও এই সাবেক মেয়রের ব্যসায়িক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ১৬ টি। কিন্তু তার ব্যাক্তিগত কোনো গাড়ি নেই। ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেয়া প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায়, তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। হলফনামায় তিনি আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি, ব্যবসা, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া, মৎস্য চাষ ও ব্যাংক সুদ উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তার অস্থাবর সম্পদ ৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৯ হাজার ও স্থাবর সম্পদের মূল্যমান ১৩ কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা। আইএফআইসি ব্যাংকে তার ব্যক্তিগত ঋণ ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে ৫৯১ কোটি ৬ লাখ টাকা। এ ঋণের মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকে ফান্ডেড ১৮৬ কোটি ৬২ লাখ ও নন-ফান্ডেড ২৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। ইস্টার্ন ব্যাংকে ফান্ডেড ৪৭ কোটি ২৯ লাখ ও ১৩ কোটি ৯ লাখ টাকা নন-ফান্ডেড এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ২৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ফান্ডেড ও ৭৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নন-ফান্ডেড ঋণ রয়েছে। ডিএনসিসির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের মালিকানায় ৩৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। হলফনামায় তিনি ৪ কোটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন। আয়ের উৎস্য হিসেবে কৃষি, বাড়ি, দোকান, অন্যান্য ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক থেকে লভ্যাংশ, চাকরি ও অন্যান্য খাত উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৮ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে ৪ দশমিক ২৪ একর কৃষি জমি, ১৬ দশমিক ৪৮ একর অকৃষি জমি, দশমিক ৫৬ একর অন্যান্য জমি। ৯২৪ ও ১ হাজার ৪৩ বর্গফুট আয়তনের দুটি অ্যাপার্টমেন্টও রয়েছে তার। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তার প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ঋণ নেয়া রয়েছে ৩০২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তবে তার নামে কোনো মামলা নেই। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসসি ডিগ্রি।
অন্যদিকে দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আইন পেশায় নিয়োজিত। তাঁর বার্ষিক আয় ১১ কোটি ৯৭ লাখ দুই হাজার ৪৩৮ টাকা। হলফনামায় তার আয়ের উৎস উল্লেখ করা হয়েছে, কৃষি খাত, বাড়িভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত, শিক্ষকতা, আইন, পরামর্শক। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তাপসের নিজের নামে ২৬ কোটি তিন লাখ তিন হাজার ৫৫৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৯৭ লাখ ২০৬ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তার কাছে বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে তিন হাজার ৭৫০ মার্কিন (ইউএস) ডলার। তার স্ত্রীর আছে আট হাজার ৭০০ ইউএস ডলার। তাপসের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে এক কোটি ৫৩ লাখ ৭৭ হাজার ২০৭ টাকা। তার স্ত্রীর রয়েছে দুই কোটি ৫৭ লাখ ৩১ হাজার ২৩৫ টাকা। বন্ড ও পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত নয়, এমন কম্পানিতে তার বিনিয়োগ রয়েছে ৪৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৪ টাকা এবং স্ত্রীর রয়েছে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া তাপসের নিজের ও স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৩২ কোটি ৯৫ লাখ ৯ হাজার ৩৮ টাকার। এ ছাড়া নিজের নামে এক কোটি টাকার সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকার রয়েছে তাপসের। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার। আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী ও তার স্ত্রীর ১০ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। পরিবারের ১৭ লাখ টাকার আসবাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়। তাপসের নিজের ও স্ত্রীর নামে অস্থাবর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১১৮ কোটি ৭৬ লাখ ২২ হাজার ৩২০ টাকা। এ দম্পতির স্থাবর সম্পদের মূল্য ছয় কোটি ৬৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬২০ টাকা। এ সম্পদের মধ্যে রয়েছে স্ত্রীর নামে ১১২ শতাংশ কৃষিজমি আর তার নামে রয়েছে ১০ দশমিক ৫০ কাঠা। এ ছাড়া তাপসের নামে রয়েছে ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকার অকৃষি জমি এবং তার স্ত্রীর নামে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ২৪০ হাজার টাকার অকৃষি জমি রয়েছে। তার নিজের নামে আট কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ টাকার দালান ও আবাসিক ভবন রয়েছে। স্ত্রী ও নিজের নামে চার কোটি ৯৪ লাখ ৬২ হাজার ৩২৫ টাকা দামের বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট। মোট স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৫ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৮ টাকা। কেউ টাকা পাওনা না থাকলেও বাড়িভাড়া বাবদ অগ্রিম নেয়া চার কোটি ৬৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকা ভাড়াটিয়াদের কাছে দেনা রয়েছেন। এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দুটি মামলা থাকলেও হাইকোর্ট বিভাগ তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে কম সম্পদের মালিক বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। বিএনপির এই প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসসি, ইঞ্জিনিয়ারিং। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলা বিচারাধীন। বিভিন্ন খাত থেকে তার বার্ষিক আয় ৯ কোটি ১৫ লাখ আট হাজার ৫০৯ টাকা। তার আয়ের উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যবসা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৩৩ হাজার ১০৯ টাকা। তার কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই। ব্যাংক ও আর্থিক খাতে তার জমাকৃত টাকার পরিমাণ এক কোটি ৩৭ লাখ ১৮ হাজার ৬৩ টাকা। শেয়ারবাজারে দুই কোটি ৯৬ লাখ টাকা, পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এক লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং এক লাখ ৩১ হাজার ৪০০ টাকার আসবাবের মালিক তিনি। ইশরাকের আরো ২০ লাখ ২৪ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ চার কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার ৭২ টাকা। স্থাবর সম্পদ রয়েছে ৩০ লাখ ২৫ হাজার ৬৫০ টাকা মূল্যের ৩৪.৫০ শতাংশ কৃষিজমি, ৩২ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের ২৯.০৯ শতাংশ অকৃষি জমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক এবং অ্যাপার্টমেন্ট মিলিয়ে ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪ টাকা। হলফনামায় হিসাব অনুযায়ী ইশরাকের ক্রেডিট কার্ড, স্বল্পমেয়াদি ঋণ মিলিয়ে দেনার পরিমাণ ৬৫ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪৩ টাকা। এদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন নিজেকে স্বশিক্ষিত বলে দাবি করেছেন। পেশা হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। বছরে তার আয় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বেশি। আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন বাড়ি ভাড়া,অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তার রয়েছে নগদ ৫৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। পরিবহনে ১৭ লাখ টাকা ও আসবাবপত্রে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও বীমায় রয়েছে ৬৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৯ টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে তার ৭৭ লাখ ৭ হাজার ৬০১ টাকার ঋণ রয়েছে। স্ত্রীর নামেও দুই কোটি টাকার ঋণ। তার নামে কোনো মামলা নেই।