বাগেরহাটে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় রোগিদের ভোগান্তি

0

বাগেরহাট অফিস ॥ বাগেরহাটে দিন যত যাচ্ছে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। শীতে শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শাসকষ্টজনিত কারণে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গত দুই দিনে দুই শতাধিক শাসকষ্টের রোগী ভর্তি হয়েছে জেলার প্রধান এই হাসপাতালে। এদিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শিশু রোগীর স্বজনরা। সদর হাসপাতালে এসে শিশু বিশেষজ্ঞ না পেয়ে বাধ্য হয়ে চলে যাচ্ছেন বিভিন্ন বেসরকারি কিনিকে। যাদের কিনিকের চিকিৎসা ব্যয় বহন করার সামর্থ নেই তারা সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করে পড়ে আছে সদর হাসপাতালে।
শনিবার সকালে অসুস্থ শিশুর মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার সন্তানের সর্দি হয়েছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এখানে আসার পরে জানলাম হাসপাতালে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তাই চলে যাচ্ছি। তবে কোথায় গিয়ে চিকিৎসা করাবো তা জানি না। কারণ এর আগে আলীয়া মাদরাসা রে ডের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গেছিলাম সেখানেও চিকিৎসক নেই।’ আরও কয়েকজন শিশু রোগির স্বজনকেও এভাবে হতাশ হয়ে চলে যেতে দেখা যায়। জেলার প্রধান এই হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় ােভ প্রকাশ করেছেন অনেকই। শুধু শিশু বিশেষজ্ঞ নয় অনেক চিকিৎসকের পদই শূন্য রয়েছে বাগেরহাটের গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালে। হরিণখানা এলাকার রুস্তম তালুকদার বলেন, প্রচুর ঠান্ডায় জ্বর, সর্দি ও কাশি হয়েছে। গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ খেয়েছি, তারপরও কমেনি। তাই হাসপাতালে এসেছি। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কাওছার মলিক বলেন, ঠান্ডা লেগেছে প্রচুর। কাজও করতে পারি না। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. পুলক দেবনাথ বলেন, শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় শিশু রোগিদের চিকিৎসা দিতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও যারা আসছে স্থানীয়ভাবে আমরা তাদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি।