দিনে গরম রাতে ঠাণ্ডায় চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা

0

রিফাত রহমান,চুয়াডাঙ্গা ॥ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে চুয়াডাঙ্গায় হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, দিনে গরম ও রাতে ঠাণ্ডাজনিত কারণে গত ১৮ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৭২ জন রোগী। এর মধ্যে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ৩৭৭ জন, যাদের বেশিরভাগই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৯৫ জন নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ রোগী।

এ সময় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস গ্রামের শাহানাজ (২ দিন বয়স) গত ৩ নভেম্বর রাতে ভর্তি হয়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যায়। একই উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের সালমা (১ দিন বয়স) ৯ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং পরদিন দুপুরে মারা যায়।

হাসপাতালে আসা জেলা সদরের বেলগাছী গ্রামের জহুরুল বলেন,তার ছেলের হঠাৎ সর্দিজ্বর হয়,পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।

শিশু সন্তানের চিকিৎসা নিতে এসে রাবেয়া বলেন,গত তিন দিন যাবৎ তার ৪ বছর বয়সি সন্তানের পেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর থেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসা নিয়ে এখন ভালো।

চিকিৎসকেরা বলছেন, রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ কয়েকগুণ বেড়েছে, পাশাপাশি ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতায় ছোট শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। আতঙ্কের কিছু নেই; তবে পরিবারের সচেতনতা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, দিনের গরম ও রাতের ঠাণ্ডার ব্যবধানে ছোট শিশুদের শ্বাসযন্ত্র দ্রুত জটিল হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগেও শ’শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন শ্বাসকষ্ট, ঠাণ্ডা, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা.মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গায় দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা অনুভব হচ্ছে। এ কারণে অনেক শিশু ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় বাবা-মায়ের সচেতনতাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়ার শিশুসহ বয়স্ক রোগী বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে, এছাড়া আউটডোরে দুই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মিলে গড়ে ৩০০-৪০০ রোগী দেখছি।’