শালিখায় খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছি

0

শহিদুজ্জামান চাঁদ, শালিখা (মাগুরা)॥ শীতের আগমনী বার্তার সাথে সাথে বেড়েছে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা শালিখা উপজেলার গ্রামাঞ্চলের খেজুর গাছের কদর। এখনো শীতের দেখা না মিললেও এরই মধ্যে খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই।

খেজুর গাছ সারা বছর অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকলেও শীত মৌসুমে তার কদর বেড়ে যায় অনেকাংশে। কারণ প্রতি বছরে ৪ মাস খেজুর গাছ থেকে গুড় ও মিষ্টি রস সংগ্রহ করা হয়। এ রস অত্যন্ত সুস্বাদু ও মানবদেহের উপকারিতার কারণে প্রিয় হয়ে থাকে।

যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। খেজুর গাছ ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত রস দেয়। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস,গুড়,পিঠা,পুলি ও পায়েশ খাওয়ার পালা। এছাড়া খেজুর পাতা দিয়ে আর্কষণীয় ও মজবুত পাটি তৈরি হয়। এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যাপক ব্যবহার হয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন,কালের বির্বতনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশবান্ধব খেজুর গাছ এখন শালিখা উপজেলা জুড়ে প্রায় বিলুপ্তির পথে।

এ ব্যাপারে উপজেলার শরুশুনা গ্রামের গাছি জামাল হোসেন বলেন,শীত মৌসুমের শুরুতেই আমরা খেজুর গাছের রস সংগ্রহের কাজ করে থাকি। এই রস থেকে পাটালি ও ঝোলা গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি।

তিনি আরও জানান, হয়তো বা এক সময় আমাদের এলাকা থেকে খেজুর গাছ হারিয়ে যাবে। তাই এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাইলে আমাদের সবার উচিত বেশি করে খেজুর গাছ লাগানো এবং তা যত্ন সহকারে বড় করা। যদি আমরা এই ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের জন্য ধরে রাখতে চাই তাহলে এই কাজে আমাদের সবার এগিয়ে আসা উচিত।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবুল হাসনাত জানান-উপজেলায় প্রায় ২৬ হাজার ৩শ খেজুর গাছ আছে। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে শালিখা উপজেলার বিভিন্ন সড়কের দুই ধার দিয়ে খেজুর গাছ লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। খেজুর গাছ ফসলের কোনপ্রকারের ক্ষতি করে না। এই গাছের জন্য বাড়তি কোনো খরচ করতে হয় না। যা সকলের রস ও গুড়ের চাহিদা মিটাবে।