বেনাপোল স্থলবন্দরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অগ্নি নির্বাপন মহড়া অনুষ্ঠিত

0

বেনাপোল সংবাদদাতা ।। দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর এবং একটি কেপিআই (Key Point Installation) স্থাপনা হিসেবে বেনাপোল স্থলবন্দরে শত শত কোটি টাকার মূল্যবান আমদানিকৃত ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য সুরক্ষিত থাকে। এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের সুরক্ষায় যেকোনো অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রোববার, ৯ নভেম্বর বন্দরে একটি বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

​বেনাপোল স্থলবন্দরের ১নং শেডের সামনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বেনাপোলের সহায়তায় এই মহড়াটি পরিচালিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় “অগ্নিনির্বাপণ মহড়া”র পরিচালক এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন এর শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

​মহড়ায় মূলত কিভাবে দ্রুত ও কার্যকরভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়, সেই বিষয়ে বন্দরের সাধারণ শ্রমিক, সিকিউরিটি গার্ড এবং আনসার সদস্যদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

 

​এসময় উপস্থিত ছিলেন, (পরিচালক, বেনাপোল স্থলবন্দর) ​মোঃ শামীম হোসেন, (উপ-পরিচালক)​সজীব নাজির, (উপ-পরিচালক) ​রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক, বেনাপোল স্থল বন্দর শ্রমিক সংগঠন) সহিদ আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ​তবিবুর রহমান, (ফায়ার ইনচার্জ, বন্দর)​মোঃ শাহিন হোসেন,

​বায়েজিদ বোস্তামি (ফায়ার স্টেশন অফিসার, শার্শা উপজেলা) ​বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকবৃন্দ, সি অ্যান্ড এফ কর্মচারী, সি অ্যান্ড এফ ব্যবসায়ী ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীরা।

​বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন বলেন, “আমরা শুরু থেকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে ২৪ ঘন্টা সজাগ আছি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৭ জন ফায়ার ফাইটার তো আছেনই, সেই সঙ্গে সাধারণ শ্রমিকদেরও আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “অগ্নিকাণ্ড নিরসনের জন্য আমাদের নিজেদেরকে সতর্ক হতে হবে। নিজেরা সতর্ক না হলে ৭ হাজার ফায়ার সার্ভিস নিয়েও অগ্নি নির্বাপন করা সম্ভব হবে না।”

​বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ আলী বলেন, বন্দরে অগ্নিমুক্ত এবং নিরাপদ রাখতে শ্রমিকদের প্রতি কঠোর দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, “কোন প্রকার গ্যাস লাইট, দেশলাই বা সিগারেট বন্দরে ঢুকে কেউ খেতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সব সময় তৎপর আছি।”

​শার্শা উপজেলা ফায়ার ইন্সপেক্টর বায়েজিদ বোস্তামি বলেন, “অগ্নি প্রতিকারকের চেয়ে প্রতিরক্ষা উত্তম।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আজকের মহড়ায় যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা যেকোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দ্রুত এবং কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।