আজিজুল ইসলাম, বাগআঁচড়া (যশোর)॥ কয়েকদিনের বর্ষণে ও ভারতের ইছামতী নদীর উজানের পানিতে এ বছরও প্লাবিত হয়েছে শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ঠেঙামারী ও আওয়লী বিল। এতে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে ৫০০ একর ফসলি জমি। ক্ষতির মুখে পড়েছেন উপজেলার গোগা, গোগা শান্তিপুর, বাইকোলা, গাজীর কায়বা, পাঁড়ের কায়বা, পাঁচকায়বা, ভবানীপুর ও রুদ্রপুরসহ ৮ গ্রামের অসংখ্য মানুষ। বিশেষ করে এ বছর ভারতীয় উজানের পানি ঢোকার কারনে আউশ ধান, পাট ও আমন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কয়েকজন চাষি জানান, ভারতীয় সীমান্তের ইছামতি সংলগ্ন খালমুখের বাঁধ কেটে রাখার কারণে বৃষ্টির পানির সাথে সাথে ইছামতী নদীর উজানের পানি প্রবেশ করে ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিলের ডাঙ্গার পাট ও আউশ ধান তলিয়ে গেছে। বিলে পানি জমেছে।

তারা আরও জানান, ভারতীয় ইছামতির উজানের পানি বিলে প্রবেশ না করলে এসব ফসলের ক্ষতি হতোনা।
চাষি জাকির হোসেন জানান, তার একবিঘা জমির পাট পানির কারণে নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পাটের ক্ষতি হয়েছে। এরকম অনেক চাষি আছেন যাদের পাটের জমিতে এখন ৫ থেকে ৬ ফুট পানি জমে আছে।

কায়বা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আল-আমিন জানিয়েছেন,এ বছর আগাম বর্ষণের কারণে আমন ধানের ক্ষতি হয়নি। তবে ৫ হেক্টরের মত আমনের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ৩৫ হেক্টরের মতো আউশ ধান ও ২০ হেক্টরের মতো পাট ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমন ফসলের ক্ষতি না হলেও বিলে পানি জমায় ঠেঙামারী বিলে ৫০০ একরের মতো জমিতে আমন চাষ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।