কচুরিপানায় ঠেঙামারী বিলে ফসল না হওয়ার শঙ্কা

0

আজিজুল ইসলাম, বাগআঁচড়া (যশোর)॥ যশোরের শার্শা উপজেলার ঠেঙামারী বিলে নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিলে কচুরিপানা ও পানি জমে থাকার কারণে এ বছরও হাজার হাজার বিঘা জমি পতিত থাকার আশংকা রয়েছে। এ কারণে বোরো ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিতায় পড়েছেন কৃষক।

ঠেঙামারী বিলে মাঠ ভর্তি কচুরিপানা। ইরি -বোরো মৌসুম আগত। নভেম্বরের শেষের দিকে বীজতলা তৈরির সময়। এখনো বিলে পানি জমে রয়েছে। কবে তা নামবে তা কেউ জানে না। বিলে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি জমে রয়েছে।

স্থানীয়রা কচুরিপানা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। শুক্রবার থেকে তারা বিলে কচুরিপানা পরিষ্কার করতে যন্ত্র এনেছেন।

কৃষকরা জানিয়েছেন, এ বছর বিলে ও খালে যে পরিমাণ কচুরিপানা জমে রয়েছে তাতে ধান রোপণ করা সম্ভব না। এছাড়া কচুরিপানা পরিষ্কার করতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। এতো টাকা ব্যয়ে পর পানি না সরলে কোন লাভ হবে না।

কৃষক নায়েব আলী বলেন, ১ বিঘা জমির কচুরিপানা পরিষ্কার করতে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ পড়বে।

কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, টাকা খরচের পর পানি না সরলে সব কাজ বৃথা যাবে।

কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, সরকার খাল সংস্কার ও দাউদখালী খালমুখে বাঁধ নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এলাকার সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে।