চুয়াডাঙ্গায় অ্যালকোহল সেবনে ৬ জনের মৃত্যু

0

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা॥ চুয়াডাঙ্গায় অ্যালকোহল পানে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। প্রাথমিকভাবে ৬ জনের মৃত্যু ও ৩ জনের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) জামাল আল নাসের।

মৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র গ্রামের মরহুম সামনের ছেলে লাল্টু (৪৫), একই গ্রামের মাঝেরপাড়ার নবীসদ্দিনের ছেলে শহীদ মোল্লা (৫০) ওই গ্রামের টাওয়ারপাড়ার ছমির উদ্দীন (৫৫), একই উপজেলার খাজুরা গ্রামের সেলিম (৩৮), পিরোজখালী গ্রামের পূর্বপাড়ার নবীসদ্দী ওরফে কাশেমের ছেলে লাল্টু (৩৮) ও নফরকান্দী গ্রামের খেদের আলী (৫৫)। মৃতরা পেশায় দিনমজুর । ডিঙ্গেদহ এলাকার আলিম উদ্দিন সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

গত শনিবার (১১ অক্টোবর) ও রোববার (১২ অক্টোবর) রাত পর্যন্ত এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) জামাল আল নাসের জানান, রোববার (১২ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এসে দুজন ব্যক্তি অফিসার ইনচার্জ খালেদুর রহমানকে তাদের এলাকায় মৃত্যু খবর জানান। তখন তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তাদের নির্দেশে তিনি তদন্ত শুরু করেন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, যারা মারা গেছেন তাদের মৃত্যু সনদে অ্যালকোহল পয়জনিংয়ে মৃত্যু বলে লেখা রয়েছে। এ রকম ৬টি মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এরই মধ্যে ৪টি মরদেহের দাফন হয়েছে। বাকি ২টি মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।

তিনি আরো জানান,গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তারা এক সঙ্গে বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করেন। সেই থেকে তারা অসুস্থতা বোধ করছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে তাদের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত চলছে। তারা কোথা থেকে মাদক কিনে পান করেছেন তার তদন্ত চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিঙ্গেদহ এলাকার একজন ব্যবসায়ী বলেন, কিছুদিন আগে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার গোলাম মওলার উপস্থিতিতে ওপেন হাউজ ডে- তে এই এলাকায় রেক্টিফাইড স্প্রিরিটসহ মাদকদ্রব্য বেচাকেনার বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়। তখন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদুর রহমানকে এ ব্যাপারে তৎপর হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি তা আমলে নেননি। ওই সময় মাদককারবারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে এই মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো সম্ভব ছিলো।