সুন্দরবনে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেল ১৫ জেলে

0

শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ সুন্দরবনে অপহৃত ৩০ জেলের মধ্যে মুক্তিপণ পেয়ে ১৫ জনকে ছেড়ে দিয়েছে বনদস্যুরা। জানা গেছে, মহাজনরা ‘বিকাশ’ (মোবাইল ফোনভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর)-এর মাধ্যমে মুক্তিপণের দাবিকৃত টাকা দিয়ে জেলেদের ছাড়িয়ে আনেন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় (৪ অক্টোবর) বাগেহোটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার আমতলী এলাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনে মুক্তিপণের দাবিতে বন্দস্যুরা ওই জেলেদের বনের ভেতরে আটকে রাখে।

জেলে ও মহাজন সূত্র জানায়, সুন্দরবনের কুখ্যাত শরীফ বাহিনীর সদস্যরা গত (১ অক্টোবর ) বুধবার রাতে বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের মরাভোলা,আলীবান্দা,ধঞ্চেবাড়িয়া,দুধমুখি এলাকার নদী ও খালে জেলেদের ৩০টি নৌকায় হামলা চালায়। বনদস্যুরা প্রতি নৌকা থেকে একজন করে জেলেকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে। জেলে প্রতি তারা চাঁদা দাবি করে ১৫ হাজার টাকা।

অপহৃতদের মধ্যে শরণখোলা উপজেলোর খুড়িয়াখালী গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম, সোনাতলা গ্রামের সাদ্দাম,রাকিবসহ অনেকে মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ফিরে এসেছেন বলে জানা গেছে। আটক জেলেদের সবার বাড়িই শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। ৩০ সদস্যের এ দস্যু বাহিনীর হাতে বন্দুকসহ দেশীয় অস্ত্র ও একটি ট্রলার ও দুইটি নৌকা রয়েছে।

শরণখোলা ভিলেজ রেসপন টিমের (ভিটিআরটি) স্থানীয় ফেসিলেটেটর আলম হাওলাদার জানান, দস্যু আতঙ্কে জেলে ও ব্যবসায়ীরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। জেলেদের উদ্ধারে কোস্টর্গাড, পুলিশ ও বনরক্ষীদের যৌথ অভিযান পরিচালনা করা দরকার।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, লোকমুখে সুন্দরবনের জেলে অপহরণের কথা শুনেছি। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শরণখোলা রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানান, বনে তাদের নিয়মিত টহল চলছে। বনদস্যুদের অবস্থান ও গতিবিধি র্পযবেক্ষণ করা হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নির্দেশনায় যে কোনো সময় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।