ঝিনাইদহে ‘অবৈধ’ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

0

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা ॥ ঝিনাইদহে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অনুমোদন দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতির ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ঝিনাইদহ শহীদ জিয়াউর রহমান ল কলেজের অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মশিয়ুর রহমান। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম, গোলাম মোস্তফা লোটন, রেজাউল ইসলাম, ইসরাইল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান ও লিয়াকত আলীসহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, দেশের সরকার পরিবর্তন হলেও দেশকে স্বাধীন করার জন্য জীবনবাজি রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।

অভিযোগ করা হয়, গত ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভায় স্পষ্ট সিদ্ধান্ত হয়, জেলা কমান্ড গঠন করতে হবে উচ্চতর ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে। যেখানে একাধিক কমিটি থাকবে, সেখানে সমঝোতা অথবা কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। এছাড়া বিগত সরকারের ঘনিষ্ট সহযোগী কিংবা অবৈধ সুবিধাভোগীদের বাদ দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঝিনাইদহ জেলা কমান্ড গঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

অভিযোগে দাবি করা হয়, অনুমোদিত কমিটির ১ নং আহ্বায়ক, ২ নং যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এই তিনজনের কেউই উচ্চতর ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা নন। বরং তাঁরা বিগত সরকারের ঘনিষ্ট ছিলেন এবং অবৈধ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন।

এছাড়া জেলার পক্ষ থেকে চারটি কমিটি জমা দেওয়া হলেও প্রস্তাবিত তিন কমিটির কাউকে না জানিয়ে গোপনে একটি প্যানেল থেকে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ঘোষিত কমিটির আহ্বায়কের ছেলে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়ন্ত্রিত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব। উপরন্তু ঘোষিত কমিটির ১১ সদস্যের মধ্যে রেজাউল মাস্টার, আব্দুল ওয়াহেদ জোয়ারদার, সাহেব আলী, সিরাজুল ইসলাম, লিয়াকত হোসেন ও মসির উদ্দীন পদত্যাগ করেছেন, ফলে গঠিত ওই কমিটির কোনো বৈধতাই নেই।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বর্তমান জেলা কমান্ড অবৈধ। অবিলম্বে এ কমিটি বাতিল করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। নইলে যে কোনো পরিস্থিতির দায় কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকেই বহন করতে হবে।