অস্থির ভোজ্যতেলের বাজার

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ॥ আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে ভোজ্যতেলের বাজার। ঘোষণা ছাড়াই খোলা সয়াবিন তেলের কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে স্থলবন্দরগুলো দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধের কারণে বেড়ে গেছে কাঁচা মরিচের দাম। স্বাভাবিক হয়নি সবজির বাজার। মিলছে না ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি। রোববার যশোর শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী ও বিপণনকারীরা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকেই বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। সরকারের সাথে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সমঝোতায় দাম নির্ধারণের আগেই বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের কেজিতে ( খুচরা ব্যবসায়ীরা খোলা সয়াবিন ও পাম তেল লিটারের পরিবর্তে কেজিতে বিক্রি করেন) ৫ টাকা বেশি দাম নেওয়া শুরু হয়েছে।

রোববার বড় বাজারের খুচরা ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী রবি ব্যানার্জী জানান, তিনি খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, সুপার তেল ১৭৫ টাকা ও পাম তেল ১৬৮ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তিনি আরও জানান, দু’সপ্তাহ আগেও সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা, সুপার তেল ১৬৮ ও পাম তেল ১৬০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে।

ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সাথে বৈঠকে প্রতি লিটারে ১০ টাকা দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে আপত্তি তুলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ১৪ টাকা বাড়িয়ে দাম ১৮৯ টাকা ও পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে। সেই হিসেবে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল এক লিটারের বোতল ১৮৯ টাকা, দুই লিটারের বোতল ৩৭৮ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৯২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দুর্গোৎসব উপলক্ষে স্থলবন্দরগুলোতে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিনের জন্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। কাঁচা মরিচ আমদানি না হওয়ায় রোববার থেকেই বাজারে প্রতি কেজিতে ৮০ টাকা দাম বেড়েছে।

বড় বাজারের খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এর আগে বাজারে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। বর্ষা না থাকলেও বর্ষার অজুহাত রয়ে গেছে। সুযোগ সন্ধানি ব্যবসায়ীরা একই অজুহাত দেখিয়ে সবজির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে চলেছেন।

রোববার বড় বাজারে বেগুন প্রতি কেজি ১৩০ টাকা,টমেটো ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কুশি ৫০ টাকা ও পটল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বিক্রেতা মশিউর রহমান জানান, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেশি।