১২ দিন পর বন্ধ হচ্ছে ইলিশ ধরা ও বেচাকেনা, এখনও দাম আকাশছোঁয়া

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ॥ সম্ভবত আগামী ৫ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা আসছে ইলিশ ধরা ও বেচাকেনায়। আর মাত্র ১২ দিন বাকি থাকলেও এখনও নদীর মিঠা পানির ইলিশের পর্যাপ্ত সরবরাহ ও দাম কমেনি। তবে এই সময়ে আমদানি বেড়েছে সাগরের লোনা পানির ছোট সাইজের ইলিশের। এদিকে সরবরাহ কম হওয়ায় আবারও বেড়েছে সবজির দাম। রোববার যশোর শহরের বড় বাজারের অলিগলি ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরকার প্রতি বছর প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরার ওপর ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যশোর জেলা মৎস্য অফিসার মো. মনিরুল মামুন রোববার দৈনিক লোকসমাজকে জানান, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে এ বছর সম্ভবত আগামী ৫ অক্টোবর থেকে আগামী ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময়ে ইলিশ পরিবহন, কেনাবেচা,মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।

তিনি আরও জানান, আগামী দু একদিনের মধ্যে সরকার ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সঠিক তারিখ নির্ধারণ করে জানিয়ে দেবে। অবশ্য ২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা ছিল।

সেই হিসেবে আর মাত্র ১২ দিন পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইলিশ ধরা ও বেচাকেনা। অথচ এখনও বাজারে নদীর মিঠা পানির ইলিশের পর্যাপ্ত সরবরাহ বাড়েনি। সরবরাহ যা বেড়েছে তার বেশিরভাগই সাগরের লোনা পানির ছোট সাইেিজর ইলিশের।

রোববার বড় বাজার মাছবাজারে খুচরা বিক্রেতা এরশাদ আলী জানান, এদিন তিনি এক কেজি ১শ/২শ গ্রাম ওজনের নদীর মিঠা পানির ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি করেছেন ২৮শ টাকা, ৯শ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি ২১শ টাকা, ৭শ/৮শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১৮শ টাকা, ৪শ/৫শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১৪শ টাকা, আড়াই শ/তিন শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ১ হাজার টাকা ও ৫/৬ টায় কেজি ইলিশ ৬শ ৫০ টাকা দরে। তাছাড়া এদিন বাজারে সাগরের লোনা পানির ইলিশ ৭শ/৮শ গ্রাম ওজনের কেজি ১৭শ টাকা, ৪শ/৫শ গ্রাম ওজনের কেজি ১ হাজার টাকা ও ৫/৬ টায় কেজি ৪শ/৪শ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মাছ বিক্রেতা এরশাদ আলী আরও জানান, ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞার আগে এই ১০/১২দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকলে নদীর ইলিশের সরবরাহ বাড়বে।

এদিকে গত সপ্তাহে সবজির বাজারে দামে কিছুৃটা স্বস্তি ফিরে এলেও এ সপ্তাহে আবারও চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতা মজনু মিয়া জানান, তিনি রোববার গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১২০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাকরোল প্রতি কেজি ৬০ দরে বিক্রি করেছেন।

বড় বাজার এইচ এম এম রোডের আড়তদার ‘আরিফ ভাণ্ডার’-এর মো. শাহাবুদ্দিন মাতুব্বর জানান, এ সপ্তাহে হঠাৎ করেই বাজারে সবজির আমদানি কম হয়েছে। এ কারণে বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় প্রতি কেজিতে ৫টাকা কমে ৭০ টাকা ও আলুর কেজিতে ২/৪ টাকা কমে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।