যশোরে সক্রিয় চোরাই গাড়ি কাটা সিন্ডিকেট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) আইন উপেক্ষা করে যশোরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে অবৈধভাবে গাড়ি কাটা সিন্ডিকেট। শহরের বকচর, মুরলি, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এবং আর এন রোডের মসজিদ গলি এলাকায় প্রকাশ্যে চলছে এই অবৈধ ব্যবসা।

বিআরটিএ আইন অনুযায়ী, কোনো যানবাহন স্ক্র্যাপ বা ধ্বংস করার আগে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে মালিককে অবশ্যই বিআরটিএ-তে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে ইঞ্জিন ও চ্যাসিস নম্বর জমা দিতে হয়। কিন্তু এই সিন্ডিকেট কোনো নিয়ম-কানুন না মেনে চোরাই ও পুরোনো গাড়ি কেটে যন্ত্রাংশ বিক্রি করছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চুরি করে আনা বাস, ট্রাক, পিকআপ ও প্রাইভেটকারসহ প্রতিদিন প্রায় ১০-১৫টি গাড়ি এখানে আনা হয়। ভোরবেলায় এসব গাড়ি দ্রুত কেটে যন্ত্রাংশ আলাদা করে বিক্রি করা হয়। এতে করে কয়েক লাখ টাকার গাড়ি মাত্র দেড় থেকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে যায়। এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের কারণে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

এই অবৈধ সিন্ডিকেটে প্রায় ১০-১২ জন সক্রিয়ভাবে জড়িত। এদের মধ্যে কিছু গ্যারেজ মালিক এবং পুরোনো লোহা ও মোটর পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির প্রভাবশালী সদস্যও রয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, এই চক্রের সদস্যরা চোরাই গাড়ি ধরা পড়লে প্রভাবশালী সমিতির সদস্যদের দিয়ে মালিকদের সঙ্গে সমঝোতা করে চোরদের আড়াল করে দেয়।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বছর কয়েক আগে বকচর হুঁশতলা এলাকার ফারুক (ইঞ্জিন মিস্ত্রি), মুরলি এলাকার কালু ড্রাইভার, এবং চৌধুরীপাড়ার কানা ইজাজ-এর মতো চক্রগুলো সক্রিয় ছিল। এখন পুরোনো সিন্ডিকেটের অনেকেই আড়ালে থাকলেও নতুন সদস্যরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।