সবজি বাজারে কাটছে না অস্থিরতা : কমেছে বিক্রি

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ॥ আশ্বিন মাসের শেষ ছাড়া সবজির বাজারে অস্থিরতা কাটার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না চাষি ও ব্যবসায়ীরা। বাজারে চড়া দামের কারণে ক্রেতারা সবজি কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। খামারের মুরগি,ডিম,গরুর মাংসও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের ভর্তুকি মূল্যের চাল বিক্রির কারণে বাজারে এ সপ্তাহে চালের দাম কিছুটা কমেছে। রোববার যশোর শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যেখানে শীতের আগাম সবজি বাজারে ওঠার কথা সেখানে এখনও আকাশচুম্বি দামে বিক্রি হচ্ছে। যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের কোমলপুর গ্রামের চাষি মো. হুমায়ুন কবীর লোকসমাজকে জানান, সম্প্রতি অবিরাম বৃষ্টিতে মনিরামপুর উপজেলাসহ যশোর জেলার অন্যান্য অঞ্চলে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনও ক্ষেতে কাদাপানি রয়েছে। চাষিরা শীতের আগাম সবজির আবাদ করতে পারেনি। অথচ অন্যান্য বছর এই সময়ে বাজারে শীতের আগাম সবজি উঠে গিয়েছিল।

তিনি আরও জানান,নতুন সবজি উঠতে আশ্বিন মাসের শেষ অথবা কার্তিক মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত সময় লাগবে। এ্র মধ্যে বাজারে সবজির দাম কমার কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না বলে জানান।

রোববার বড় বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা নাসির আলী বেগুন প্রতি কেজি মানভেদে ১৩০/১৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ১১০-১২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা,বরবটি ৮০-১০০ টাকা, শসা ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। তিনি আরও জানান, সবজি দাম বেশি হওয়ার কারণে বাজারে ক্রেতা কমে গেছে। তাছাড়া ক্রেতারা কেনার পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে বাজারে খামারের মুরগি ও ডিম বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। বড় বাজারে খুচরা মুরগি বিক্রেতা আবুল হাশেম জানান, রোববার তিনি খামারের লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। খামারের মুরগির লাল ডিম প্রতি হালি ৪৬ টাকা ও সাদা ডিম ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া বড় বাজার কাঠেরপুলে গরুর মাংস দীর্ঘদিন ধরে বাড়তি দাম ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, বড় বাজার চালবাজারে এ সপ্তাহে চালের দাম কেজিতে ২ টাকা কমেছে। রোববার বাংলামতি চাল মানভেদে প্রতি কেজি ৮২-৮৪ টাকা, মিনিকেট ৬২-৬৮ টাকা, ব্রি-৬৩ চাল ৬৬-৬৮ টাকা, ব্রি-২৮ চাল ৫৬-৬০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৫২-৫৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

যশোর বড় বাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার বিশ্বাস লোকসমাজকে জানান, বর্তমানে সরকারের খাদ্যবান্ধব, ওএমএস ও টিসিবির চাল বিতরণের কারণে বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। এ সময় আগের থেকে বাজারে চালের বিক্রিও কমেছে।