যশোরে লক্ষাধিক নতুন ভোটার সর্বোচ্চ সদরে সর্বনিম্ন বাঘারপাড়ায়

0

মীর মঈন হোসেন মুসা। যশোর জেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর মোট ভোটারের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৪৬ লাখ। এক বছরে ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৭ হাজারেরও বেশি। নতুন এই তালিকা অনুযায়ী, যশোর সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ভোটার এবং বাঘারপাড়া উপজেলায় সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, এই তালিকায় পুরুষ এবং নারী ভোটারের সংখ্যা প্রায় সমান, যদিও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা সামান্য বেশি।

এর পূর্বের ভোটার তালিকায় যশোরে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মোট ভোটার ছিল ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫ জন। হালনাগাদ তালিকায় ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ১২৪ জন। এই নতুন তালিকার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ ২৩ হাজার ৯৭৩ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ ২২ হাজার ১৩০ জন। অর্থাৎ, পুরুষের সংখ্যা নারীর চেয়ে মাত্র ১ হাজার ৮৪৩ জন বেশি।

জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া)

ভোটার রয়েছেন মোট ২১ জন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১০ জন, অভয়নগরে ২ জন, মনিরামপুরে ৪ জন, ঝিকরগাছায় ২ জন, বাঘারপাড়ায় ১ জন ও কেশবপুরে ২ জন।

উপজেলাভিত্তিক ভোটারের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সদর উপজেলায় মোট ভোটার ৬ লাখ ৪১ হাজার ৭২৩ জন। পুরুষ ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৫১ জন ও নারী ৩ লাখ ১৯ হাজার ৯৬২ জন। অভয়নগর উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৩০ জন। পুরুষ ১ লাখ ১১ হাজার ৮৯ জন ও নারী ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৩৯ জন।

মনিরামপুর উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৭০ হাজার ১৯৮ জন। পুরুষ ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৩ জন ও নারী ১ লাখ ৮৪হাজার ১১১ জন।

ঝিকরগাছা উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৭২ হাজার ১৮৮ জন। পুরুষ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮০৬ জন ও নারী ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৮০ জন। বাঘারপাড়া উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩১ জন। পুরুষ ৯৭ হাজার ৯৪২ জন ও নারী ৯৮ হাজার ৮৮ জন। এই উপজেলায় সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছেন। চৌগাছা উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৬ হাজার ৬৫৬ জন। পুরুষ ১ লাখ ৩ হাজার ৯২৩ জন ও নারী ১ লাখ ২ হাজার ৭৩৩ জন। শার্শা উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ৭ হাজার ৯৮৯ জন। পুরুষ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৭ জন ও নারী ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩১২ জন। কেশবপুর উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ৬০৯ জন। পুরুষ ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০২ জন ও নারী ১ লাখ ১২ হাজার ৯০৫ জন।

জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম রাকিব জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে কেউ যে কোন সময় অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে ভোটার হতে পারে।