কালিয়ায় নবগঙ্গার ভাঙন বাড়ছে, বাসস্থান হারানোর আশংকায় তীরবর্তী মানুষ

0

সুলতান মাহমুদ,নড়াইল ॥ নড়াইলের কালিয়া পৌরসভার উথলীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নবগঙ্গা নদীর ভাঙন বাড়ছে। বর্ষায় পানির স্রোতে ভাঙন বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। প্রায় দেড় মাস আগে থেকে শুরু হওয়া ভাঙনের ফলে পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের উথলী গ্রামের পান্নু শেখ, মন্নু শেখ, নাজমুল শেখ,মুঞ্জিল শেখ ও মিঠু শেখের বসতবাড়ির পাকা-আধাপাকাসহ ঘর, খেলার মাঠ, টিউবওয়েল, বাঁশঝাড় ও গাছাপালা নদীগর্ভে চলে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে নদী তীরবর্তী জায়গায় অস্থায়ী ঘর বেঁধে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করছেন তারা ।

ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ওই গ্রামের ইউসুফ শেখ, রাকিব শেখ, আলীনূর, ইয়ানুর, বাচ্চু, সাজ্জাদ ও মিরাজের বসতবাড়ি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি বাঁধ প্রতিরোধের আওতায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে বসতবাড়ি, গাছপালা, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনের তীব্রতা ও স্রোত বেশি থাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে বলে জানান নদীপাড়ে বসবাসকারী লোকজন।

সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে মধুমতি, নবগঙ্গা ও চিত্রা নদী ভাঙনের ফলে তীরবর্তী বসতবাড়ি, গাছপালা, বিভিন্ন স্থাপনা ও ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বিশেষ করে কালিয়া উপজেলার উথালী,চরমধুপুর, লোহাগড়া উপজেলার ইতনা,শালনগর, কোটাখোল, মৌলভীধানাইড়, শিয়েরবর, রামকান্তপুর, সদর উপজেলার রতডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকা নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব এলাকায় প্রতিবছর নদী গর্ভে বিলিন হয় ফসলী জমি, বসতভিটা, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙনের তুলনায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় অনেক সময় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভবপর হয় না।

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুমার সাহা বলেন, প্রতি বছরই মধুমতি, নবগঙ্গা নদীসহ অন্যান্য নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়। নদী ভাঙনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করি।