জীবননগরে ভেঙে গেছে ভৈরবের ব্রিজ

0

রিফাত রহমান, চুয়াডাঙ্গা॥ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামের বাঁওড়ের বাঁধ ভেঙে হঠাৎ তীব্র স্রোতে মনোহরপুর গ্রামের ইলিশের জোল মাঠ ও সন্তোষপুর গ্রামের ভৈরব নদের ওপর নির্মিত দুটি ব্রিজ ভেঙে গেছে।

এর মধ্যে একটি ব্রিজ ভেঙেছে মঙ্গলবার রাতে। আরেকটি ভেঙেছে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে। খবর পেয়ে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুটি ব্রিজ পরিদর্শন করেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমীন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, জীবননগর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক রিপন হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার জানান, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সিংনগর গ্রামের বাঁওড়ের বাঁধ ভেঙে প্রবল স্রোতে সন্তোষপুর গ্রামে প্রবেশের একমাত্র ব্রিজটি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভেঙে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সন্তোষপুরসহ মানিকপুর, রাজাপুর, রতিরামপুর, সিংনগর, ধোপাখালী ও মাধবখালী গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। কৃষকেরা কৃষি পণ্য ও ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা -নেওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মব্যস্ত মানুষজন অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করছে।

এরআগে গত সোমবার রাতে একই নদের ওপর নির্মিত মনোহরপুর গ্রামের ইলিশের জোল মাঠের ব্রিজটি ভেঙে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমীন।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমীন বলেন, ভৈরব নদে পানির প্রবল স্রোতে মনোহরপুর গ্রামের একটি ব্রিজ ভেঙে যায়। তারপর সন্তোষপুর গ্রামের ব্রিজটি ভেঙে গেছে। ব্রিজ দুটি এই এলাকার মানুষের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুনর্নিমাণের জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। তারা দ্রুত চলাচলের একটা ব্যবস্থা করে দেবেন। আর এখন মানুষ যেন যাতায়াত করতে পারে সেজন্যে বিকল্প ব্যবস্থা কী করা যেতে পারে সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

জীবননগর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা দেখতে এসেছি। এই ব্রিজটি স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই নির্মাণ করা।এটা আমাদের এলজিইডির নয়। এটা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে করা হতে পারে। ব্রিজের ওপর দিয়ে আমাদের একটা রাস্তা চলে গেছে। প্রাথমিকভাবে ব্রিজের যে অবস্থা তাতেকরে এটা মেরামতযোগ্য না। নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। আমরা আমাদের বিভাগ থেকে নতুন ব্রিজের জন্যে প্রস্তাব পাঠাবো। তবে সময় লাগবে।