নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের উপস্থিতিতে যশোর মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে উত্তেজনা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর মেডিকেল কলেজের (যমেক) ছাত্রাবাসে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের(নিষিদ্ধ) সভাপতি নাফিজ শহীদুল্লাহ শাহীসহ তার অনুসারীদের ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেয়। কয়েক গাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংশিষ্ট সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে সরকার। এরপরও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সংগঠনটিকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চলছে। সোমবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে যমেক ছাত্রলীগের সভাপতি নাফিজ শহীদুল্লাহ শাহী, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউদ্দিন, সহ-সভাপতি সামী সাদিক ও সহ-সভাপতি ফাহিম ফয়সাল ছাত্রাবাসে প্রবেশ করেন। তারা মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়ে আড্ডা ও তাস খেলায় অংশ নিতেন।

ছাত্রাবাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে উত্তেজনা শুরু হয়। সূত্র অনুযায়ী, যমেক-১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ সদস্য শেখ সাকিব এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন যমেক-১২ ব্যাচের ছাত্র মেহরাব হোসেন ফাহিম ছাত্রলীগের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্ররা শাহীকে ছাত্রাবাস থেকে বের করে দেয়।

এ ঘটনার পর উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। পরিস্থিতি শান্ত করতে ছাত্রাবাসের সাধারণ শিক্ষার্থীরাদের সাথে নিয়ে যমেক ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ডা. আব্দুল¬াহ আল মুক্তাদির ও ডা. নাজমুল হুদা প্যারিস এগিয়ে আসেন। কিন্তু এরপর মেহরাব ও তার বন্ধুরা হোস্টেল সুপার গাজী শরিফ আহমেদকে ফোন করেন।

পরিস্থিতির খবর পেয়ে হোস্টেল সুপার ডা. গাজী শরীফ, ড্যাব নেতা ডা. এহতেশামুল হক পরাগ ও ডা. রবিউল ইসলাম তুহিনকে সাথে নিয়ে ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

পরবর্তীতে ছাত্রলীগের ঘনিষ্ঠ ডা. আজম ও ডা. নাঈম ক্যাম্পাসে আসলে শিক্ষার্থীরা পুনরায় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে পুলিশ শিক্ষার্থীদের শান্ত করে।

এ বিষয়ে যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এ. এইচ. এম. আহসান হাবিব জানান, ‘আমি জানতে পেরেছি যে সাদিক নামে এক ছাত্রের জন্মদিন ছিল। সেখানে তার বন্ধু হিসেবে শাহীসহ অন্যদের কেক কাটার জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। ওই দাওয়াতে গেলে এই উত্তেজনার ঘটনা ঘটে এবং শাহীকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।’

তিনি আরও জানান, কলেজের ভেতরে রাজনৈতিক সমর্থিত পেশাজীবী একটি সংগঠনের দুটি গ্রুপ আছে, যাদের নিয়ে কিছুটা ঝামেলা আছে।