যশোরে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত

0

বি এম আসাদ ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে আরও ৭ জন ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে জেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মশা ও মশার কামড় থেকে বাঁচতে সর্বক্ষণ সতর্ক থাকা এবং মশারি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

যশোর সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলায় নতুন করে ৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এই নিয়ে চলতি বছর মোট ৫৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন এবং ৪১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

পরিসংখ্যানে আরও জানানো হয়েছে, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ৫ জন, অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ৮ জন, কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ২ জন এবং মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ২ জন রোগী বর্তমানে চিকিৎসাধীন। গত ১ জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত যেখানে মাত্র ১০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেখানে জুন মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন।

আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা জানিয়েছেন, বৃষ্টির সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ সাধারণত বৃদ্ধি পায়। কারণ এ সময় যত্রতত্র বৃষ্টির স্বচ্ছ পানি জমে থাকে। এই জমে থাকা পানিতেই এডিস মশা ডিম পাড়ে এবং দ্রুত বংশবিস্তার করে। ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী এডিস মশা মানুষকে কামড়ালে তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন।

এ অবস্থায় ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সিভিল সার্জন সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতে, সব সময় মশারি ব্যবহার করা, বাসা-বাড়িতে ফুলের টব বা ডাবের খোলাসহ যেকোনো জায়গায় যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ, এসব স্থানে পানি জমলে এডিস মশা বংশবিস্তার করে ডেঙ্গু ছড়াতে পারে। সিভিল সার্জন আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, ‘সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই।’