যশোরের নদ-নদীর অবৈধ বাধা উচ্ছেদ ও সংরক্ষণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরে অবৈধভাবে মুক্তেশ্বরী নদ দখল, দ্রুত ভবদহ অঞ্চলে টিআরএম চালু ও উজানে নদী সংযোগ, কপোতাক্ষ নদে অবৈধ বাধা উচ্ছেদ ও ভৈরব নদের উজানে নদী সংযোগ প্রবাহমান নদী হিসেবে সংরক্ষণের দাবিতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল।

মুক্তেশ্বরী বাঁচাও আন্দোলন, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি, ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন ও কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বেলা ১২টায় শহরের নীল রতন ধর সড়কে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জিল্লুর রহমান ভিটু।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মুক্তেশ্বরী নদী ভৈরব নদের শাখা। এর নিম্ন প্রবাহ হরি, শ্রী, তেলিগাতী, গ্যাংরাইল নামে বারোআউরিয়া মোহনায় মিলিত হয়ে রূপসা-শিবসা নদী দিয়ে সাগরে পড়েছে। এ নদীর উজানে ভৈরব নদের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়ায় নদীর উৎস থেকে যশোরের সলুয়া পর্যন্ত ভরাট হয়ে গেছে। এছাড়া যশোর সদরের পুলেরহাট পর্যন্ত অবৈধ দখলদারের দৌরাত্ম্য ও ব্রিজের নামে ভালভার্ট নির্মাণে নীতিমালা লংঘন করে নদীকে হত্যা করা হয়েছে।

আরো বলা হয়, বিগত সরকারের আমলে পুলেরহাটে নদী তট আইন লংঘন শুধু নয়, নদীগর্ভ দখল ও ভরাট করে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদকে তারা তোয়াক্কা করেনি।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রণজিৎ বাওয়ালীর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনসমূহের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ।
এসময় আরও জানানো হয়, ভবদহ সংকটাপন্ন এলাকার সমস্যা সমাধানে সরকারের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হয়ে নতুন সংকটের জন্ম দেবে। ফলে এই অবৈধ স্থাপনা অপসারণ, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও মুক্তেশ্বরী নদী সংস্কার করা জরুরি। যা ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের পথ করে দেবে।

তিনি আরও জানান, আমরা অবহিত হয়েছি সরকার সারাদেশে কয়েকটি নদীকে বিশেষভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে ভৈরব নদকে ওই পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি প্রয়োজন মনে করি। এছাড়া ভবদহ সমস্যার সমাধানে এখনই যে কোনো একটি বিলে পলি ব্যবস্থাপনার আওতায় এনে পর্যায়ক্রমে বিলসমূহে টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তেশ্বরী বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক শুকুর আলী, ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের উপদেষ্টা হাসিনুর রহমান, তসলিম-উর-রহমান, কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মুত্তালিব, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আব্দুল হামিদ, সদস্য সচিব চৈতন্য পাল, সদস্য অনিল বিশ্বাস, শিবপদ বিশ্বাস, আজিজুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের সদস্য পলাশ বিশ্বাস, তরিকুল ইসলাম, নদী গবেষক মহিউদ্দিন, হরি গাংরাইল জলাবদ্ধতা নিরসন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।