স্টাফ রিপোর্টার ॥ রোববার রাতে এক পশলা শিলা বৃষ্টি যশোরবাসীকে শীতল পরশ দিলেও সোমাবার তা উবে গেছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্যমতে, মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। যশোরসহ দক্ষিণের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা তীব্র হতে পারে।

রোববার রাতে যশোরে চলতি মৌসুমে প্রথম বৃষ্টিপাতের দেখা মেলে। এসময় বাতাসের গতি ছিলো ২৫ নটস।আবহাওয়া অফিস বলছে মাত্র ৩৫ মিনিটি স্থায়ী এই বৃষ্টিতে ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

এদিকে বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস আগাম বার্তায় বলছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় যশোরসহ দেশের ১২টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় প্রকাশিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, যশোরসহ আশপাশের অঞ্চলে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগের কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও যশোরের জন্য এ ধরনের আশঙ্কা কম বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকায় আবহাওয়া পরিবর্তন হতে পারে।

যশোরের পাশাপাশি রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, বাগেরহাট ও ফরিদপুরসহ দেশের আরও ১১টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগামী ১৮ মার্চ থেকে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ মঙ্গলবার থেকে যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। তবে জলীয় বাষ্পের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা আরও বেশি হবে, যা জনজীবনে অস্বস্তি বাড়াতে পারে।

যশোরের কৃষি ও শ্রমজীবী মানুষের ওপর তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মাঠের কাজ করা কৃষক ও খোলা জায়গায় শ্রম দেওয়া শ্রমিকরা গরমের কারণে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১৮ মার্চ থেকে দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে, তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।