যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড, আরও বাড়তে পারে আজ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হলো যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, এদিন বিকেল তিনটায় খুলনা জেলায় ৪০ দশমিক ৫ ও যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এ সময় খুলনায় ২৫ ও যশোরে বাতাসে আদ্রতা ছিলো ৩০ শতাংশ। এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এর আগের দিন শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দক্ষিণের জনপদ যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিল চলতি বছরের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ওই দিন রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিও ছিল এ বছরে নগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে সোমবার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে,সোমবার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। তবে মঙ্গলবার থেকে তা আবার বাড়তে পারে। চলতি মাসে তামমাত্রা একই রকম থাকার সম্ভাবনা।
তবে দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টি এবং এতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত কম বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। মে মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তখন তাপমাত্রা কমে আসতে পারে।
তবে আপাতত দক্ষিণের জেলাগুলোতে গত কয়েক দিনের তীব্র তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসলেও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেলেও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে জলীয় বাষ্পের কারণে গরম কমলেও সেটি অস্বস্তিকর হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে তীব্র দাবদাহ ও কাঠফাঁটা রোদে তপ্ত উঠছে চারপাশ। গরম বাতাসে ঘরে-বাইরে কোথাও নেই স্বস্তি। তীব্র গরমে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকায় গরম সামান্য কমলেও অনুভূত হচ্ছে বেশি। তাপদাহের কারণে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ বৃষ্টির জন্যে আকাশপানে তাকিয়ে থাকলেও আপাতত সুখবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি বলছে পুরো এপ্রিলজুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। মাঝেমধ্যে সামান্য বৃষ্টির দেখা মিললেও গরমের অস্বস্তি কমার সম্ভাবনা কম।
সোমবার গরমে শ্রমজীবী মানুষের অবস্থাও সঙ্গীন ছিল। ঘামে ভেজা এসব মানুষ খানিকটা স্বস্তির খোঁজ করলেও মেলনি সেই স্বস্তি। অফিসগামী মানুষ গরম উপেক্ষা করে সকালে অফিসে পৌঁছালেও ভালো নেই দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিকরা নাকাল হচ্ছেন তীব্র গরমে। পথের পাশে একটু ছায়া পেলেই সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছেন মানুষ। সেখানে কিছুটা বাতাসের দেখা মিললেও সেটিও গরম হাওয়ায় মানুষের কষ্টের সীমা থাকছে না।
যশোর শহরের জেলরোড এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক শরিফুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, আকাশের দিকে সব সময় চেয়ে থাকি কখন বৃষ্টি হবে। আল্লাহ কখন ডাক শুনবেন সেই আশায় আছি। তিনি বলেন, দিনের অধিকাংশ সময় শহর ফাঁকা থাকছে। যেকারণে ভাড়াও কম হচ্ছে বলে তিনি জানান।
একই কথা বলেন, তরমুজ বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই গরমে প্রচুর তরমুজ বিক্রি হওয়ার কথা। অথচ মানুষ গরমে শহরে বের হচ্ছেনা। যেকারণে ক্রেতার অভাবে তরমুজ বিক্রি করতে পারছেন না বলে তিনি জানান।