স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের উপশহরে গত রোববার রাতে শিশু সন্তানের গলায় চাকু ধরে তার মাকে (২১) ধর্ষণের চেষ্টা চালায় হাসান গাজী (১৮) নামে এক যুবক। বাধা দেওয়ায় ওই নারীকে চাকু দিয়ে জখম করা হয়েছে। অভিযুক্ত হাসান গাজী ওই নারীর ছোটভাইয়ের বন্ধু। মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়ার কথা বলে ঘরের ভেতর ঢুকেছিলো। ঘটনার প্রায় সোয়া ৬ ঘন্টা পর শহরের মণিহার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাসান গাজীকে আটক করেছে উপশহর ক্যাম্পের পুলিশ।

কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, আটক হাসান গাজী উপশহরস্থ শফিউল্লার মোড় এলাকার জনৈক আজমীরের বাড়িতে ভাড়া থাকে। তার পিতার নাম আলমগীর গাজী। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, তার স্বামী পেশাগত কারণে সিলেটে থাকেন। তিনি যশোরের উপশহরস্থ শফিউল্লার মোড়ের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার ৪ বছরের ১টি শিশুকন্যা রয়েছে। অভিযুক্ত হাসান তার ছোট ভাইয়ের বন্ধু। এ কারণে তার বাসায় যাতায়াত ছিলো হাসানের। গত রোববার রাত ৯ টার দিকে হাসান মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়ার কথা বলে তার আসায় আসে। তিনি তাকে ঘরে ঢুকতে অনুমতি দেন।

পরে তিনি একটি ঘরে শিশুসন্তানকে রেখে রান্নাঘরে যান তরকরি কাটতে। এরই মধ্যে তিনি তার সন্তানের কান্না শুনে ঘরে ঢুকে দেখতে পান তার গলায় চাকু ধরে রেখেছে হাসান। সন্তানকে রক্ষার জন্য তিনি এগিয়ে গেলে হাসান তাকে ঝাপটে ধরে এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। বাধা দেওয়ায় তাকে চাকু দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে হাসান। বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করতে গেলে কব্জির নিচে লেগে জখম হয়। এক পর্যায়ে তিনি প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন।

এসময় হাসান পালিয়ে যান। পরে তিনি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে যান।

উপহশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত রোববার রাত সোয়া ৩টার দিকে মণিহার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাসানকে তারা আটক করেন। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, আটক হাসান হাওয়ায় মিঠাই ফেরি করে বিক্রি করে বলে জানা গেছে।